যদি বছরের শেষ দিনগুলো পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিরিবিলি কাটাতে চান তাহলে আর দেরি করবেন না। চলে যান রথখোলা। এটি একেবারে অফবিট একটি স্থান। “খোলা” শব্দটির একটি আক্ষরিক অর্থ আছে যা হল ছোট নদী এবং এর উৎস খাম্পাং রেঞ্জের নীচে। তিস্তা নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি স্রোতের সঙ্গে এটি মিলিত হয়েছে।
একবার যদি এই জায়গায় আসেন তাহলে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। পাহাড়ি খাবার থেকে শুরু করে, আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, নৈসর্গিক নদী উপত্যকা এবং তুষারপাতের প্যানোরোমা সবকিছুই পর্যটকদের এখানে বারবার আকৃষ্ট করবে।
যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন এই জায়গাটি কিন্তু তাদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত। পর্বতধারার ট্রেকিং পথ আছে যেগুলি প্রকৃতিপ্রেমী এবং ট্রেকারদের জন্য পারফেক্ট।
সামথার উপত্যকা থেকে কালিম্পং পর্যন্ত একটি ট্রেক করতে প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে তবে এটি কালিম্পং থেকে মাত্র আধা ঘন্টার পথ। ট্রেকের প্রথম পর্বটি রেলিখোলায় নেমে আসে এবং তারপরে কালিম্পংয়ের খাড়া আরোহণ।
এখানে একবার আসলে আশেপাশে বহু ঘোরার জায়গা পেয়ে যাবেন। তিনধারিয়ার বৌদ্ধ মঠ এবং চা-বাগান পর্যটকদের মন নিমিষেই ভালো করে দেবে। তিনচুলে থেকে দেখতে পাবেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য। সাথে বাড়তি পাওনা থাকবে দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য।
শিলিগুড়ি কিংবা এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং এর পথেই পেয়ে যাবেন এই জায়গাটি। থাকার জন্য চিন্তা করতে হবে না এখানে অনেক হোমস্টে এবং রিসর্ট আছে।