শোনা যাচ্ছে, নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বঙ্গ জুড়ে। আর এই শীতের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে না গেলে হয়। বীরভূমের পাঁচটি সতিপীঠ দর্শনের পাশাপাশি তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ দর্শন এবং তারপরেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতন ভ্রমণের জন্য ছুটে আসেন পর্যটকরা। বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রায় ১২টি দেখার মতো জায়গা রয়েছে এর পাশাপাশি রয়েছে বোলপুর সোনাঝুরিহাট।

এই সমস্ত জায়গাগুলিঅনেক বার ঘুরেছেন তবে কোনওদিন ঘুরে দেখেছেন বোলপুরের মধ্যে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যে গ্রামে গেলেই এক ছাদের তলায় উত্তর-পূর্ব ভারতের জীবনযাত্রা দেখতে পাবেন? এই শান্তিনিকেতনে অনেক জায়গাই রয়েছে দেখার। খোয়াইয়ের হাট থেকে শুরু করে গোয়ালপাড়া, আমার কুটির একাধিক জায়গা রয়েছে সেখানে। কিন্তু অনেকেই এই সৃজনী গ্রামের কথা জানেন না। শান্তিনিকেতন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে সেই গ্রাম। সেখানে এক চাদের তলায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির জীবনযাত্রা দেখা যাবে অনেকটা জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই এলাকাটি।

বোলপুর স্টেশন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন এই গ্রামে এবং এই গ্রামে পৌঁছানোর পর সামান্য কিছু টাকার টিকিট কেটে আপনি এই গ্রামের বিভিন্ন জায়গা দর্শন করতে পারবেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক শিল্পীর তৈরি সৃষ্টি রয়েছে এই সৃজনী গ্রামে। এখানে রাঢ়বঙ্গের মানুষের উৎসব, লোক সংস্কৃতি থেকে শুরু করে আদিবাসী সাঁওতালিদের উৎসব তাঁদের জীবন যাত্রা দেখানো হয়েছে। এমনকী উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক জায়গার মানুষের জীবন যাত্রা দেখানো হয়েছে বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে।

গত কয়েক বছর থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতনের জনপ্রিয়তম জায়গা হয়ে উঠেছে খোয়াইয়ের হাট। খোয়াইয়ের এই হাটে পর্যটকরা সবথেকে বেশি ভিড় করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে খোয়াইয়ের হাটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। খুব কমলোকই তাই সৃজনী গ্রামে যান। এই সৃজনী গ্রামেও শিল্পীদের তৈরি সামগ্রী সব বিক্রি হয়। ইচ্ছে করলে সেখানে গিয়ে কেনাকাটাও কিনে নিতে পারেন। তাই আর দেরি না করে বেড়িয়ে আসুন শান্তিনিকেতনের এই অফবিট গ্রামে। এ গ্রাম হতে পারে আপনার ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here