শাস্ত্র মতে প্রতি বছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয় পিতৃপক্ষের। আর আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে শেষ হয় পিতৃপক্ষের। এইবছর পিতৃপক্ষ শেষ হবে আগামী ৩ অক্টোবর। মনে করা হয়, এই সময় পিতৃলোক ছেড়ে ইহলোকে এসে বসবাস করেন পিতৃপুরুষেরা। এই সময় চার প্রাণী বাড়িতে এলেও তা শুভ বলে মনে করা হয়। তাই তাঁদের কখনও তাড়াতে নেই। জানেন কোন চার প্রাণী আসা শুভ?

১) কাক  জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কাক হল বায়ুর প্রতীক। পিতৃপক্ষে কাককে খাবার খাওয়ানোর গুরুত্ব রয়েছে। শ্রাদ্ধপক্ষের সময় খাবারের একটি অংশ কাকের জন্য রাখতে হয়। কাক যদি পূর্বপুরুষদের নিবেদন করা খাবার খায়, তাহলে সেই খাবার পূর্বপুরুষদের দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট ও খুশি হলে পরিবারের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

২) কালো গরু  গরুকে পৃথিবীর উপাদানের প্রতীক বলে মনে করা হয়। সনাতন ধর্ম অনুসারে গরু পবিত্র জীব। পিতৃপক্ষের সময় নিবেদন করা খাবারের একটি অংশ কালো রঙের গরুর জন্য রেখে দিন। সেই খাবার যদি প্রতিদিন গরুকে খাওয়ানো যায়, তাহলে খুব খুশি হন পূর্বপুরুষরা। শুধু তাই নয়, গৃহে উন্নতি, সমৃদ্ধি ও সম্পদের আশীর্বাদ করেন।

৩) কালো রঙের কুকুর  পিতৃপক্ষে কুকুরকেও শ্রাদ্ধের খাবার নিবেদন করা হয়। কুকুরকে জলের প্রতীক বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পূর্বপুরুষদের তিথিতে খাবারের একটি অংশ কুকুরকে খাওয়ানো হলে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃপ্ত হয়।

৪) হিন্দু দেবতা  পিতৃপক্ষের সময় দেবতাদের অন্ন প্রদানেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা রোজকার খাবার খাওয়ার সময় খাবারের একটু অংশ দেবতা ও পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে রেখে দেন। কথিত দেবতারা হলেন আকাশ প্রতীক। পিতৃপক্ষের সময় প্রস্তুত করা খাবারের একটি অংশ দেবতাদের জন্য রেখে দিন। এতে করে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here