মৌনতা একটি শিল্প। আচার্য চাণক্য মৌন থাকার অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। চাণক্য নীতিতে ১০টি এমন জায়গার উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে ব্যক্তি সবসময় মৌন থাকা উচিত।
এই ১০টি জায়গায় সবসময় মৌন থাকুন:
- যদি কোথাও ঝগড়া চলে এবং আপনার তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকে, তাহলে সেখানে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এতে ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- যদি মানুষ নিজেদের প্রশংসা করছে, তাহলে আপনিও চুপ থাকুন। সেখানে কথা বলা অপমানজনক হতে পারে। এধরনের জায়গায় মৌন থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।
- যখন কেউ তৃতীয় ব্যক্তির নিন্দা করছে, তখনও সেখানে কথা বলার থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ যে আজ কাউকে খারাপ বলছে, সে কাল আপনাকেও খারাপ বলতে পারে।
- অসম্পূর্ণ তথ্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে। কোনো বিষয় সম্পর্কে পুরো তথ্য না থাকলে চুপ থাকাই ভাল, যাতে অজান্তে কাউকে ক্ষতি না হয়।
- যখন সামনে থাকা ব্যক্তি আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছে না, তখন মৌন থাকা সঠিক হবে। কারণ এধরনের মানুষ আপনার অনুভূতির মূল্যায়ন করেন না।
- যদি কেউ তার সমস্যা সম্পর্কে বলছে, তাহলে ধৈর্য সহকারে শুনুন। যতক্ষণ না আপনি সঠিক সমাধান জানেন, ততক্ষণ চুপ থাকুন।
- যদি কেউ আপনার ওপর রেগে থাকে, তাহলে তার রাগের মোকাবেলা মৌন হয়ে করুন। এতে তার রাগ কমে যাবে এবং সে নিজের ভুল বুঝতে পারবে।
- যদি কোনও সমস্যার আপনার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা অপমানের মুখোমুখি হতে পারে।
- যারা তাদের কথা চিৎকার না করে বলতে পারে না, তাদের জন্য মৌন থাকা ভালো। চিৎকার অন্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- অকারণে কাউকে নিয়ে কথা বলা বা মন্তব্য করা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ভুল জায়গায় চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।