বিশ্ববিখ্যাত সুরকার এ.আর. রহমান ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, যা তাঁর জীবনে শান্তি আনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। একজন হিন্দু থেকে কেন মুসলিম হয়েছিলেন তিনি?

এই প্রসঙ্গে রহমান জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় এক সুফি সাধুর সান্নিধ্যে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর, ওই সাধুর সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাত হলে রহমান ও তাঁর পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে রহমান বলেন, “সাধুর সাথে পুনরায় দেখা হওয়ার পরে আধ্যাত্মিক যাত্রার পথে আমাদের শান্তি খুঁজে পাই।”
নাসরিন মুনির কবিরের বই এ.আর. রহমান: দ্য স্পিরিট অফ মিউজিক-এ রহমান জানান যে, তাঁর পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের প্রভাব ছিল। যদিও তাঁর মা ছিলেন হিন্দু, তাঁদের ঘরে বিভিন্ন ধর্মের ছবি ও প্রতিমা থাকত, যেমন শিশু যিশুর সাথে মা মেরি এবং মক্কা-মদিনার চিত্র।
ধর্ম পরিবর্তন তাঁর সম্পর্কগুলোতে প্রভাব ফেলেছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রহমান জানান যে, সংগীতশিল্পী হিসেবে তাঁদের একটি বিশেষ সামাজিক অবস্থান ছিল, ফলে কেউ তাঁদের ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায়নি। “সংগীতশিল্পী হিসেবে আমাদের সমাজে কিছুটা স্বাধীনতা ছিল,” বলেন তিনি।

‘এ.আর. রহমান’ নামের পেছনের গল্প
রহমান জানান যে তাঁর মা স্বপ্নে ‘আল্লাহ রাখাহ’ নামটি দেখেছিলেন, আর ‘রহমান’ নামটি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পরামর্শে যোগ হয়। নিজের জন্মনাম নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। নাসরিন মুনির কবিরের বইয়ে তিনি বলেন, “দিলীপ কুমার নামটি আমার সাথে মানাত না।”
এ.আর. রহমানের আসল নাম দিলীপ কুমার রাজাগোপাল। ১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি, চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা আর.কে. শেখর ছিলেন একজন সুরকার, এবং তামিল-মালায়ালাম চলচ্চিত্রের জন্য সুর করতেন। রহমান চার বছর বয়সে পিয়ানো বাজানো শিখতে শুরু করেন।

সম্প্রতি রহমানের স্ত্রী সাইরা বানু তাঁদের ২৯ বছরের বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। রহমান এ বিষয়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here