মঙ্গলবার স্বামীহারা হয়েছেন টলিউড নায়িকা মুনমুন সেন৷ প্রয়াত হয়েছেন সুচিত্রা জামাতা ভরত দেব বর্মণ৷ স্বামীকে হারিয়ে শোকাতুর মুনমুন৷ ১৯৭৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মুনমুন সেন ও ভরত দেব বর্মণ৷ ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ভরতকে সেই সময়ের গ্ল্যামারাস নায়িকা ভালবেসে৷ নিজে দাঁড়িয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন৷ দীর্ঘ ৪৬ বছরের দাম্পত্য সমাপ্ত হল মঙ্গলবার ভরত বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। কীভাবে আলাপ হয়েছিল মুনমুন সেন ও ভরত দেব বর্মণের?
মুনমুন সেন এক সাক্ষাৎকারে নিজেই তাঁর প্রেমের কাহিনি তুলে ধরেছিলেন৷ অভিনেত্রী জানান,এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ভরতের সঙ্গে দেখা হয় মুনমুনের৷ আমার এক বান্ধবী নাসরিন আলি, সে সময় মিস ক্যালকাটা হয়েছিল৷ নাসরিনের সঙ্গে ডেট করতেই কলকাতায় আসেন ভরত৷
যেদিন ভরতের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল সেদিন বাড়ি ফেরার প্রচন্ড তাড়াহুড়ো ছিল৷ তখন নাসরিনকে বলেছিলাম কীভাবে বাড়ি ফিরব? সাতটা বেজে গেল মা খুব বকাবকি করত৷ তখনই ভরত আমায় বাড়ি পৌঁছে দেয়৷ তবে এই ঘটনার আরও পাঁচ বছর পর প্রেম হয় মুনমুন ও ভরতের৷ অভিনেত্রী জানান, স্বামী ভরতকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগেছিল তাঁর৷ মনে হয়েছিল ম্যারেজ মেটেরিয়াল। শেষে মহানায়িকার মেয়ের গলাতেই মালাটা পড়ান রাজপরিবারের ছেলে ভরত৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়৷ তড়িঘড়ি করে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে খবর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ৷