অপর্যাপ্ত পুলিশের অজুহাতে ১৮ তারিখের মোহনবাগান–ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করেছিল সরকার। এদিকে কথা ছিল ডার্বিতে উপস্থিত জনতা আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে স্লোগান তুলবেন। তারপরেই ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু স্লোগান বন্ধ করা যায়নি। রবিবার বিকেলে যুবভারতীর সামনে জড়ো হয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান সমর্থকেরা। ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এক যুবক বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সোমবার এই বিষয়ে দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই যুবকের পরিবার।
সোমবার সকালে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ওই যুবক পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। সোমবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আদালতে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে সাঁতরাগাছি থেকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার পর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার ডার্বি বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
রবিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সমর্থকদের প্রতিবাদে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকে বাইপাস। ফলে প্রবল যানজট সৃষ্টি হয়। সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জও করে পুলিশ। তবে তাতেও প্রতিবাদ থামেনি। পুলিশের লাঠিচার্জ সত্ত্বেও সমর্থকেরা ভিড় করেন যুবভারতীর সামনে।