টিকিয়াপাড়ার পরেই আসে হাওড়া স্টেশন। কিন্তু সে আসতেই যে কত সময় নেয় তা হিসাব করতে বোধহয় ঘড়িও ভুলে গিয়েছে আজকাল। কারণ দক্ষিণ পূর্ব রেল নিত্যদিন এক পাঁচিলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে যায়। নিত্যযাত্রীরা এই স্থানের নাম দিয়েছেন পাঁচিলপাড়া স্টেশন। তারপর নাকি আসে ‘থমকে দাঁড়া’ আর ‘একটু দাঁড়া’।
টিকিয়াপাড়া থেকে হাওড়ার মধ্যেকার এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্ব পার করতে লোকাল ট্রেনের কখনও কখনও দেড় ঘণ্টা লেগে যাওয়ার নজিরও রয়েছে।
হাওড়াগামী যে মেদিনীপুর লোকালের সকাল ১১টা ২২ মিনিটে বাউড়িয়া স্টেশনে ঢোকার কথা, সেই ট্রেন স্টেশনে ঢুকেছে দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে।
বাসের ভরসায় ট্রেনযাত্রা করেন অনেকে। কোনও রকমে একবার সাঁতরাগাছি স্টেশন পর্যন্ত আসার পরে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ আর ট্রেনের ভরসায় থাকেন না। সোজা বাসে উঠে রবীন্দ্রসদনে এসে নামেন। তারপর ফের গন্তব্যের ব্যবস্থা করে নেন।
কতদিন এই সমস্যা চলবে, কবে ঠিক হবে কেউ জানে না। দক্ষিণ পূর্ব রেলের বড়কর্তাদের বক্তব্য সমস্যার শিকড় সন্ধানের চেষ্টা চলছে, কিন্তু মুক্তি কবে মিলবে সে দিন ক্ষণ বলতে পারছেন না কেউই।