বলিউডে এমন কিছু হাড় হিম করা ভৌতিক সিনেমা তৈরি হয়েছে যেগুলি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। সেগুলি কী কী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) মহল (১৯৪৯): এই বলিউড হরর ফিল্মটি আসলে অভিনেতা এবং প্রযোজক অশোক কুমারের বাস্তব জীবনের এক ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে তিনি মধ্যরাতে একটি হিল স্টেশনে জীজীভয় হাউসের কাছে শুটিং করছিলেন। সেই সময় তিনি এক রহস্যময় মহিলার গাড়িতে একটি মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান। অশোক কুমার যখন তাঁর পরিচারকদের কাছে এই ঘটনাটি বলেন তখন কেউ বিশ্বাস করেননি। পরে যখন তিনি কাছাকাছি একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি জানতে পারেন যে ১৪ বছর আগে একই জায়গায় একইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল।
২) রাগিণী এম.এম.এস (২০১১): ‘রাগিনী এমএমএস’ ছবির নির্মাতারা প্রথমে গল্পের সত্যতা আড়াল করার চেষ্টা করলেও পরে তা প্রকাশ পায়। রাগিনী এমএমএস সিনেমাটি দীপিকা নামে দিল্লির এক মেয়ের জীবন নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল। এই দীপিকা তার জীবনের প্রথম নাইট আউট করতে প্রেমিকের সঙ্গে এক কমন ফ্রেন্ডের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দুজনেই সেই বাড়িতে আত্মার উপস্থিতি অনুভব করেছিলেন। দীপিকা প্রযোজক একতা কাপুরকে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। তারপর একতা এই ঘটনা থাকে ছবি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
৩) এ কোশ্চেনমার্ক (২০১২): এই ফিল্মটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আসলে একবার বন্ধুদের একটি দল একটি হরর প্লেসে রাত্রিযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে বেঁচে ফিরে আসেনি। তাদের পায়ের ছাপ পরে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছিল যে অই বন্ধুদের দলটির সাথে আসলে কী ঘটেছিল।
৪) ট্রিপ টু ভানগড় (২০১৪): ট্রিপ টু ভানগড়’ একটি হরর ফিল্ম যা ভানগড়ের ট্যুরিস্টদের বলা ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। ভানগড়কে ভারতের সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক ভয়ংকর স্থান বলে মনে করা হয়।
৫) থ্রি এ.এম (২০১৪): 3 AM ফিল্মটি একটি লোককথা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া কথার উপরে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। যেখানে সকাল ৩ টে থেকে ভোর ৪ টের আগের সময়টা শয়তানের সময় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে সমস্ত অতিপ্রাকৃত শক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটিও এই ধারণাকেই ঘিরে তৈরি হয়েছে।
৬) স্ত্রী (২০১৮): স্ত্রী’ ১৯৯০ এর দশকে বেঙ্গালুরুতে শহরের কাহিনী দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই গল্পটি ছিল একটি ডাইনি রোজ রাতে দরজায় কড়া নাড়ত এবং কেউ দরজা খুললে সে তাকে মেরে ফেলত। আর এই ডাইনি সাধারণত লোকের দরজা খুলতে বাধ্য করতো সেই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের কণ্ঠ অনুকরণ করে কথা বলে।শেষমেষ এই ডাইনিকে দূরে রাখার জন্য লোকেরা তাদের বাড়ির বাইরে ‘নালে বা’ (একটি কন্নড় শব্দ যার অর্থ হলো আগামীকাল এসো) লিখতে শুরু করেছিল
৭) ঘোস্ট (২০১৯): বলিউডের হরর ফিল্ম ‘ঘোস্ট’ একটি বাস্তব জীবনের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। আর্নে জনসন নামে একজন ব্রিটিশ ব্যক্তি, যাকে 1981 সালে তার বাড়িওয়ালার হত্যার জন্য বিচার করা হয়েছিল। তিনি তার আইনজীবীর সামনে স্বীকার করেছেন যে হত্যাকাণ্ডটি তার নয়, তার ভিতরের শয়তান করেছে। লোকটি নিজেকে একটি মন্দ আত্মা দ্বারা আবিষ্ট বলে বিশ্বাস করেছিল।
৮) ভূত দ্যা হন্টেড শিপ (২০১৯): ফিল্মটি ২০১১ সালের হলিউড ফিল্ম যা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। এমভি উইজডম, ৯০০০ টন কার্গো, জুন ২০১১ সালে জুহু সৈকতে আটকা অবস্থায় পাওয়া গেছিল।