দানা আতঙ্কে খাঁ খাঁ করছে ওড়িশার সৈকতগুলি। অথচ সারা বছর এই সৈকতগুলিতেই তিলধারণের জায়গা থাকে না। বুধবারের মধ্যে সেই দৃশ্য আরও বদলেছে। সমুদ্রের ঢেউ আগের মতোই আছড়ে পড়ছে সৈকতে। কিন্তু নেই কোনও জনমানুষ। এখন এই সৈকতগুলিতে শুধু দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যদের। সঙ্গে চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি।
মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে পুরী, গোপালপুর এবং চাঁদিপুরের মতো জনপ্রিয় পর্যটনস্থল এবং সৈকতগুলি। ফলে ‘দানা’ আতঙ্কে দু’দিনের মধ্যেই ওড়িশার পর্যটনস্থল এবং সৈকতগুলির চেহারা একেবারে বদলে গিয়েছে। বুধবার থেকে তিন দিন পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গঞ্জাম জেলার গোপালপুর এবং সুনাপুর সৈকত। আবার পারাদ্বীপ এবং সিয়ালি সৈকতেও পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জগৎসিংহপুর জেলা প্রশাসন। ‘দানা’র জেরে সমুদ্রের ঢেউ ৭-৮ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে। ফলে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। বর্তমানে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘দানা’। ধামারা থেকে ৩১০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে।