সেলেব মানেই আমরা তাঁদের রুপোলি পর্দায় দেখে অভ্যস্ত। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকেন তাঁরা। কিন্তু আজ তাঁরাও পথে নেমেছেন। কিন্তু কেন? একটাই দাবি, তিলোত্তমার সঠিক বিচার চাই। তাঁদের মতে, আমরাও শুটিং শেষে মাঝরাতে ঘরে ফিরি, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা আছে তো? আর পাঁচটা সাধারণ নারীর মতো তাঁরাও এবার গর্জে উঠেছে। আরজি কর-কাণ্ডে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, শোলাঙ্কি রায়, অলিভিয়া সরকার, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় আন্দোলরত চিকিৎসকদের পাশে তাঁরাও রয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে যখন নারীরা সারা দেশজুড়ে আন্দোলন করছেন ঠিক সেই সময়ে একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে গেল। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি দর্শক আসনে বসে দেখে গেলেন। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে টলিউড সেলেবরাও। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের দাবি, “শুনলাম, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তান্ডব চলেছে। অনেক যন্ত্র, রোগীদের শয্যা নষ্ট হয়েছে। এই বছর ক্লাবগুলোকে পুজোর অনুদান না দিয়ে হাসপাতালকেই সেই অর্থ দিলেন। জ্যান্ত ‘দুর্গা’দের সুরক্ষা দিলেন। তাহলে আরজি কর হাসপাতাল আবার নতুন করে সেজে উঠুক।”
একই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের রাতে প্রতিবাদের সমাবেশ থেকে আওয়াজ তোলেন অবস্থানকারী চিকিৎসক পড়ুয়ারা, “আর কোনও মধ্যস্থতা নয়। এ বার পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান তাঁরা।”
শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে, নেতাজির মূর্তির পাদদেশে জমায়েতে অংশ নেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত দুই কন্যার বাবা পরিচালক বিরসা।