সত্যযুগের পর ত্রেতাযুগ, দ্বাপর যুগ পেরিয়ে কলিযুগেও সাধু সন্ন্যাসীরা স্বমহিমায় বিরাজমান। সত্য, ত্রেতা ও দ্বাপরযুগে মুনি ঋষিরা সব বড় বড় সম্রাটদের শিক্ষা, জ্ঞান ও পরামর্শ দিতেন। সমাজকে ধর্মের পথে ও ন্যায়ের পথে চালনা করতে এঁদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল সেই সময়তবে জানেন কি যে সাধু, সন্ন্যাসী, মুনি ও ঋষি এক নন। এঁদের মধ্যে উল্লেখোযোগ্য রকমের পার্থক্য রয়েছে।

ঋষি

বেদের শ্লোক রচনা করেছেন যাঁরা, তাঁদের ঋষি বলা হয়। এঁরা ক্রোধ, লোভ, কামনা, বাসনা, ঈর্ষা ও অহংকার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। তার সঙ্গে এঁরা কঠোর তপস্যা করেন এবং গোটা সমাজকে মুক্তিলাভের পথ দেখান।

মুনি

বেদ ও অন্যান্য শাস্ত্র পাঠ করেছেন যিনি, তিনি হলেন মুনি। তিনি সকল শাস্ত্র পাঠ করেছেন ও ধ্যানের মাধ্যমে সেগুলি আত্মস্থ করেছেন। মুনিরা মৌনতা অবলম্বন করেন, অর্থা এঁর কথা বলেন না। এঁরা কঠোর তপস্যা করেন।

সাধু

ধর্মীয় অনুশীলন, অর্থাত্‍ ঈশ্বরের আরাধনার মধ্যে যিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তিনি হলেন সাধু। এঁরা সব রাগ, লোভ, ঈর্ষা থেকে মুক্তি লাভ করেন। তবে এঁরা ধর্মীয় বই পড়ে নয়, নিজেরা ধর্মাচরণ করে এরা জ্ঞান লাভ করেন।

সন্ন্যাসী

সর্বদা সত্যের পথে চলেন যিনি, তিনি হলেন সন্ন্যাসী। এঁরা নিজেদের জীবনে সত্যকে উপলব্ধি করেন। যেমন রবিদাস, তুলসীদাস, কবীর দাস – এঁরা সবাই ছিলেন সন্ন্যাসী। এঁরা জগ সংসার ও ধর্মের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করেন। সন্ন্যাসীরা নিজেদের সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here