ভেজালে ভেজালে চারদিক ছেয়ে গিয়েছে। সবথেকে বর কথা খাদ্যদ্রব্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি ভেজাল মিসিয়ে চলছে। দেদার দুর্নীতি পাখনা মেলেছে। এই যে রান্নায় এত গুঁড়ো মশলার ব্যবহার হয় তা কি সত্যিই গুঁড়ো মশলা? এই ভেজাল চক্র ধরতে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সক্রিয় থাকলেও রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট তেমন ভাবে সক্রিয় নয়।
যাই হোক, ফেব্রুয়ারি মাসে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা বেশ কিছু দোকান থেকে গুঁড়ো মশলার নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তাতে যা রিপোর্ট এসেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগার। দেখা যাচ্ছে জিরে, হলুদ, লংকা, ধনেগুঁড়ো বলে যা যা খাচ্ছেন তা আসলে কাঠের গুঁড়ো।
বড় বাজার পোস্তা এলাকায় মশলা পেষাইয়ের কারখানাগুলোতে অভিযান চালিয়ে জানা যায় দোকানদাররা ষাট টাকা কেজি দরে হলুদেই র গুঁড়ো প্রস্তুত করছে। আর তা বাজারে আসছে ১২০ টাকায়। মশলার কারখানাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে রঙ পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া রয়েছে কাঠের গুঁড়ো।
এই মশলাই প্রতিদিন খাবারে লক্ষ লক্ষ মানুষ খান। তাছাড়া কলক্তার কতশপ্ত রেস্তোরাঁতেও যে এই হলুদ, ধনে, জিরে গুঁড়ো ব্যবহৃত হয়। তাহলেই বুঝুন কী খাচ্ছেন রোজ।