কলা বা কলাগাছকে সবদিক থেকেই উপকারী বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে কলাগাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। যে কোনও শুভ কাজে, পূজা বা আচার-অনুষ্ঠানে এই গাছের ব্যবহার হবেই।
কলার পাতা এখনও অনেক মন্দির এবং খাবারের দোকানে ব্যবহার করা হয়। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও বাড়িতে কলা গাছ লাগানো কখনওই ঠিক নয়। এর পেছনের কারণ কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
কিংবদন্তি অনুসারে, যখন ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর বিয়ে হচ্ছিল, তখন দেবতারা মা লক্ষ্মীর বোন দারিদ্র্যকে নিয়ে মজা করেছিলেন। দেবতাদের উপহাসের কারণে তিনি খুব দুঃখ পান। কিন্তু বিষ্ণু তো সকলের দুঃখহারক, তিনি সবাইকে তাঁর শরণে আশ্রয় দেন।
শ্রীবিষ্ণুর কাছে যখন দারিদ্র্য পৌঁছান তখন তিনি দারিদ্রকে বললেন, আজ থেকে তুমি কলা গাছে বাস করবে। যে কলা গাছকে সত্যিকারের চিত্তে পুজো করবে সে আমার প্রিয় হবে। এরপর থেকে দারিদ্র্য কলা গাছে বসবাস শুরু করেন।
তাই কলা গাছ ঘরে লাগালে আপনা আপনিই দারিদ্র্য ঘরে বাসা বাঁধে। মানুষের জীবনে নানা ধরনের ঝামেলা ও সমস্যা শুরু হয়। তাই ঘরে কলা গাছ লাগানো উচিত নয়। এতে সম্পদ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কলা গাছের নিচে বসে খাওয়া উচিত নয়। এটা করা ঠিক বলে মনে করা হয় না।
তবে কলা পাতায় খাবার খেলে শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধে না। বাড়িতে কলাগাছ লাগানো শুভ বিবেচিত হয় না, তবে মাঙ্গলিক কাজে কলাগাছের ব্যবহার অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ভালো লাগলে খোলা জায়গায় কলাগাছ লাগাতে পারেন।