আয়কর বিভাগে সুরু হয়েছে নতুন নিয়ম। নতুন নিয়ম অনুসারে, সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করলে তার উৎস জানানো বাধ্যতামূলক। সঠিক প্রমাণ না দিতে পারলে আয় কর বিভাগ ৬০% কর কেটে নিতে পারে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টের নতুন নিয়ম
যদি আপনার একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে এই তথ্যটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আয়কর বিভাগ সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের উপর কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। যদি আপনি এক আর্থিক বছরে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করেন, তবে তার উৎস আয়কর বিভাগকে জানাতে হবে। এই নিয়মের উদ্দেশ্য হলো কালো টাকার প্রবাহ বন্ধ করা এবং কর ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
নতুন নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?
আয়কর বিভাগের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি এক আর্থিক বছরে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা হয়, তবে তার উৎস প্রমাণ করতে হবে। যদি আপনি আয়ের উৎস সঠিকভাবে দেখাতে না পারেন, তবে বিভাগ আপনার জমাকৃত টাকার উপর ৬০% কর আরোপ করতে পারে। এই নিয়মটি কালো টাকা এবং নগদের অবৈধ লেনদেন বন্ধ করার জন্য প্রণীত হয়েছে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে নগদ জমার সীমা
RBI-এর নিয়ম অনুযায়ী, এক আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করলে PAN কার্ডের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। আগে এই সীমা ছিল ৫০,০০০ টাকা, যা বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর অর্থ, যদি আপনি বেশি নগদ জমা করেন, তবে আপনাকে PAN নম্বর প্রদান করতে হবে। এই নিয়ম করের সঠিকতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নগদ লেনদেনেও স্বচ্ছতা নিয়ে আসে।
করের বোঝা থেকে কীভাবে বাঁচবেন?
এই নিয়ম থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো, আয়ের সঠিক উৎস দেখানো এবং নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা করা। আয়কর বিভাগের নিয়ম মেনে চললে, আপনি অতিরিক্ত কর প্রদানের ঝুঁকি থেকে রেহাই পেতে পারেন। যদি আপনার আয়ের বৈধ উৎস না থাকে, তবে আপনাকে ৬০% করের সম্মুখীন হতে হতে পারে। তাই আয়ের উৎস প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই টিপসগুলি মেনে চলুন:
আপনার আয়ের রেকর্ড রাখুন – সব আয় এবং লেনদেনের ডকুমেন্ট রাখুন, যাতে যে কোনও তদন্তের সময় সঠিক তথ্য দিতে পারেন।
PAN এবং Aadhaar আপডেট করুন – ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে PAN এবং Aadhaar লিঙ্ক রাখুন। নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি কাজে আসবে।
নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা করুন – যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করেন, তবে নিয়মিত রিটার্ন জমা করুন। এটি বিভাগকে আপনার আয়ের উৎস প্রমাণ করতে সহজ করবে।
ব্যাঙ্ক পরামর্শদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করুন – নিয়মগুলি বুঝতে অসুবিধা হলে ব্যাঙ্ক পরামর্শদাতার সাহায্য নিন।