ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি”কে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে প্রত্যবর্তণের স্মরণীয় ছবি আঁকল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ম্যাচকে বাঁচিয়ে রেখে টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যায় তাঁরা। টাইব্রেকারে আবারও বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত হাতে ফাইনালে পৌঁছাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
মঙ্গলবার খেলার শুরুটা দারুণ ভাবে করেছিল মোহনবাগান। যে গতিতে আক্রমণ প্রতি আক্র্মণ তুলে এনেছিল তাতে যে কোনও সময়ে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু কিছুটা খেলার গতির বিপরীতে গিয়েই প্রথম গোল পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ৪২ মিনিটে লিস্টন কোলাসো বক্সের মধ্যে ফাউল করেন সুনীল ছেত্রীকে। স্পট কিক থেকে দলকে গোল এনে দিতে কোনও ভুল করেননি এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। গোল হজম করার পর প্রথমার্ধেই তা শোধ করতে চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। দু’টি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
- দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ায় জেরার্ড জারাগোজার ছেলেরা। মোহনবাগানের ডিফেন্সের ভুল থেকে এই গোলটি পায় বেঙ্গালুরু। আপুইয়ার মিস পাস ধরে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যায় পেরেরা ডিয়াজ। সেখান থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বীনিথের উদ্দেশ্যে মাইনাস করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন বেঙ্গালুরুর ইয়ুথ সিস্টেম থেকে উঠে আসা তরুণ।
জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়া মোহনবাগান ম্যাচে ফেরে বেঙ্গুলুরুর ডিফেন্সের ভুল থেকে। মনবীরকে জার্সি ধরে টেনে নিজেদের বক্সেই ফেলে দেন রাহুল ভেকে। পেনাল্টির বাঁশি সঙ্গে সঙ্গে বাজান রেফারি। দিমিত্রি পেত্রাতোস পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার। রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়া বাঘ যেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে, তেমনই দ্বিতীয় গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন। ৮৪ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নার বক্সের মধ্যে ক্লিয়ার হলে তা গিয়ে পড়ে অনিরুদ্ধ থাপার পায়ে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অনিরুদ্ধের দূরপাল্লার কোনাকুনি শট জড়িয়ে যায় জালে। নির্ধারিত সময় ২-২ ব্যবধানে শেষ হয় খেলা। টাইব্রেকারে ফল যখন ৪-৩ তখন বেঙ্গালুরু এফসির চতুর্থ শট সেভ করেন বিশাল কাইথ। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগানের শেষ শটটি সেভ হওয়া প্রয়োজন ছিল বেঙ্গালুরুকে ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখতে। সেটি করেনও গুরপ্রীত। গ্রেগ স্টিওয়ার্টের শট তিনি সেভ করে দেন। কিন্তু শেষ শটটি কিন্তু জালে রাখতে ব্যর্থ হয় বেঙ্গলুরু দল। বিশাল কাইথের বিশ্ব হাতের সামনে থমকে যেতে হয় জোভানোভিচকে।