বেলুড় মঠে দুর্গা পুজোর প্রচলন করে গিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। এখানে পুজোয় চারদিনই আমিষ ভোগ দেওয়া হয় স্বামীজির প্রাণের বেলুড়ে। সেই সঙ্গে আরও একটি বিশেষ জিনিস দেবীকে নিবেদন করা হয়। তা হল কালীঘাটের বলির মাংস। শ্রী শ্রী সারদা দেবী বেলুড়ে পশুবলি বন্ধ করে গিয়েছিলেন। তাই বলির পাঁঠা দুর্গাপুজোর সন্ধিপুজো, শ্যামাপুজো ও ফলহারিণী পুজোর দিন কালীঘাটে মাকে উৎসর্গ করে মঠে সেই প্রসাদী মাংস নিয়ে এসে রান্না করে ভোগ দেওয়া হয়। ফলে তা হয়ে যায় মহাপ্রসাদ।
এছাড়া তৈরি করা হয় রচনা। প্রায় দুই হাজার নারকেল নাড়ু মায়ের জন্য তৈরী করা হয়, সঙ্গে থাকে মুড়কি ও অন্যান্য সামগ্রী। বেলুড়ে দেবীর সামনে আখ, চালকুমড়ো ও কলা বলি দেওয়ার নিয়ম আজও পালিত হয়।
রাতে মায়ের ভোগে দেওয়া হয় লুচি , ছোলার ডাল ও মুগের ডাল , তিন রকমের তরকারি ও পাঁচ রকমের ভাজা এবং মিষ্টি , ক্ষীর , রাবড়ি। দুপুরে ঠিক ১২ টার সময় ভোগ দিয়ে ভোগারতি হয় এবং রাতে ভোগ দেওয়া হয় আটটার পর।
দশমীর দিন হয় দেবীর বিসর্জন। তাইও েইদিন ভোগে থাকে দধিকর্মা। দধিকর্মার মধ্যে থাকে চিঁড়ে ও দই,কিশমিশ,কাজু,নানা ফল, কলা, নাড়ু, সন্দেশ এগুলি।
মায়ের নামে প্রতিদিন মঠে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। ভোগ রান্না হয় যে ঘরে তার সামনে থাকে দেবীর ছবি। রান্নার পরে সেই ভোগ আগে মাকে নিবেদন করা হয়। তারপর তা বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। চাল,ডাল ও সমস্ত রকম তরকারি দিয়েই এই খিচুড়ি প্রস্তুত হয়, আলাদা করে কোনও লাবড়া বা এই জাতীয় কিছু থাকে না। সঙ্গে থাকে চাটনি।