পুরুষ নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে নানান তথ্য পাওয়া যায়। তবে মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন নিয়ে অনেকেই জানেন না। মহাকুম্ভ, কুম্ভ, পূর্ণকুম্ভের সময় মহিলা নাগা সাধুদের দেখা যায়।
পুরুষ হোক বা মহিলা নাগা সাধু হওয়া সহজ নয়। নাগা সাধুদের কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যে মহিলা নাগা সাধু হতে চান, প্রথমত সেই মহিলাকে ৬-১২ বছর ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে। তা কাটিয়ে দিতে পারলে সেই মহিলা নাগা সাধু হতে পারেন।
যে মহিলা নাগা সন্ন্যাসী হতে চান, তাঁকে গুরুর কাছে প্রমাণ দিতে হয় যে তিনি নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার যোগ্য। কোনও পিছুটান নেই, তা প্রমাণ করতে হয়। নাগা সাধু হতে চাওয়া মহিলাকে জীবিত অবস্থায় পিন্ডদান করতে হয়। কুম্ভ বা মহাকুম্ভের সময় গোপনে এই কাজ করা হয় বলে ধর্মীয় বিশ্বাস।
পুরুষ নাগা সাধুরা লম্বা চুল রাখেন। জটাও রাখেন অনেক পুরুষ নাগা সন্ন্যাসী। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে পিন্ডদানের পর মুন্ডন করতে হয় অর্থাৎ ন্যাড়া হতে হয়।
পুরুষ নাগা সন্ন্যাসীরা প্রকাশ্যে নগ্ন অবস্থায় ঘোরেন। মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা তা করতে পারেন না। তাঁরা গেরুয়া বস্ত্র পরেন। কিন্তু সেলাই করা কোনও পোশাক পরেন না।