প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে দানা। বাংলার দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। এছাড়াও দুর্যোগের সম্মুখীন হবে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও বাঁকুড়ায়। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম সতর্কতা স্বরূপ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে আগাম সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না।
১) গুজব উপেক্ষা করুন, শান্ত থাকুন। অযথা আতঙ্কিত হবেন না।
২) মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখুন।
৩) রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রে আবহাওয়ার খবরের দিকে নজর রাখুন।
৪) জরুরী নথি এবং মূল্যবান সামগ্রী জল থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
৫) আপৎকালীন প্রয়োজনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী, খাদ্য, জল, ওষুধ, পোশাক সঙ্গে রাখুন।
৬) আপনার বাড়িতে সুরক্ষিত রাখুন। ধারালো জিনিস খোলা অবস্থায় রাখবেন না।
৭) গৃহপালিত প্রাণীর বাঁধন খোলা রাখুন।
8) মৎস্যজীবীরা সমুদ্র বা নদীতে যাবেন না।
৯) মৎস্যজীবীরা নৌকা নিরাপদ স্থানে বেঁধে রাখুন।
১০) বাড়ির ভেতরে বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাস সিলিন্ডারের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন।
১১) দরজা জানলা বন্ধ রাখুন।
১২) কাঁচা বাড়ি বা ক্ষতিগ্রস্ত পাকা বাড়িতে থাকবেন না।
১৩) নিজের বাড়ি সুরক্ষিত না হলে ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা নিরাপদ পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন।
১৪) ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়িতে প্রবেশ করবেন না।
১৫) ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার এবং ধারালো বস্তুর দিকে খেয়াল রাখুন।
১৬) যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিন।