জাতীয় গেমসে যোগাসনে ফের সোনা এসেছে বাংলার ঘরে। মঙ্গলবারও সোনার দৌড় অব্যহত রেখেছেন ঋতু মণ্ডল, শিল্পা দাস, সর্বশ্রী মণ্ডল, সাথী মণ্ডল’রা। জাতীয় গেমসে যেই ইভেন্টের ফলাফলে সমগ্র দেশে বাংলা সারা ফেলে দিয়েছে এবং যেই ইভেন্টে ওভার অল চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিওএ যে গর্ব করছে, তাজ্যব করার বিষয় হল সেই প্রতিযোগীদেরই চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অপদার্থতায়।

জানেন কি বাংলা থেকে যে যোগাসন দল গিয়েছে সে’টি বিওএ-এর অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল যোগাসন অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো দল নয়? বিওএ-এর অনুমোদিত যোগাসন সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল যোগাসন অ্যাসোসিয়েশন উত্তরাখণ্ডে আয়োজিত জাতীয় গেমসে অংশ-ই নেয়নি!

মজার বিষয় হল, বিওএ-এর অনুমোদিত যোগাসন সংস্থাকে অনুমোদন-ই দেয় না দেশে যোগাসনের সর্বোচ্চ সংস্থা যোগাসন ভারত। অথচ সর্ব ভারতীয় স্তরে অনুমোদন না পাওয়া সংস্থার সচিব গৌতম সিনহা দিব্যি বিওএ-এর সহ-সভাপতি চেয়ার দখল করে রয়েছেন। সর্ব ভারতীয় ফেডারেশন যেই সংস্থাকে মান্যতা দেয় না সেই সংস্থাকে বিওএ কী করে মান্যতা দেয়? বিওএ-এর গভীরে গেলে এর উত্তর পেতে বেগ পেতে হবে না। আসলে এটা হচ্ছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের গোষ্ঠী রাজনীতির একটা সমঝোতা। বিওএ-এর সভাপতি চন্দন রায় চৌধুরি এবং সচিব জহর দাস সমস্ত বিষয়টিতে ওয়াকিবহল কিন্তু বিওএ-এর গোষ্ঠী রাজনীতি করার জন্য সমঝোতা করে রয়েছেন।

তা হলে যাঁরা বাংলার ঝুলিতে পদক এনে দিচ্ছেন তাঁরা কারা? কোন সংস্থার প্রতিযোগীরা যোগাসনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন? বিওএ-এর থেকে যে কোনও প্রকার সাহায্য থেকে বঞ্চিত অল বেঙ্গল যোগাসনা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের দল যোগাসনে বাংলাকে এনে দিচ্ছে একের পর এক সোনা, অথচ এই সংস্থাকেই জাতীয় গেমস শুরুর আগে হতে হয়েছে বঞ্চিত। যেই ছেলেমেয়েগুলির জন্য বিওএ গর্ব করছে, সেই ছেলে-মেয়েগুলিকে ন্যূনতম কিটসটুকু তুলে দেয়নি। জাতীয় গেমসের জন্য ১৭ জানুয়ারি গৌতম সিনহাকে অল বেঙ্গল যোগাসনা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পাঠিয়ে দেয় খেলোয়াড়দের ট্র্যাকশ্যুটের মাপ। কিন্তু ২৪ জানুযারি নেতাজি ইন্ডোরে তাদের প্রতিযোগীদের হাতে একটিও ট্র্যাকশ্যুট তুলে দেয়নি বিওএ। বিওএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের কাছে কোনও নাম এবং মাপের তালিকা ছিল না যোগাসনের প্রতিযোগীদের জন্য।

প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, ১৭ জানুয়ারির লিস্টটি পেয়ে কী করলেন সর্ব ভারতীয় ফেডারেশনের মান্যতা না থাকা সংস্থার সচিব গৌতম সিনহা, যিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমীকরণে ভর করে বসে রয়েছেন বিওএ-এর চেয়ারে? এমনকী উত্তরাখণ্ডে যাওয়ার জন্য থ্রি-টায়ার এসির ভাড়াটুকুও এই যোগাসনের প্রতিযোগীদের দেয়নি বিওএ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here