অনেকেই রয়েছে ওয়াইফাই চালিয়েই রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। আর চালু থাকা অবস্থাতেই ফোনটি মাথার কাছে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। রাতভরই চালু থাকে ওয়াইফাইয়ের রাউটার। এতে শরীরে কী কী প্রভাব পড়ে জানা রয়েছে কি?

‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’ (এনআইএইচ)-এর সমীক্ষা বলছে, ওয়াইফাই রাউটার থেকে যে ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক’ তরঙ্গ বার হয়, তা মানুষের মস্তিষ্কের জন্য বিপজ্জনক। এই ওয়াইফাই তরঙ্গ যদি লাগাতার শরীরে ঢুকতে থাকে, তা হলে তা শরীরের নানা রকম ক্ষতি করতে পারে। এমন অনেক মানুষজনকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যাঁরা ওয়াইফাই চালু রেখে মাথার কাছে ফোন নিয়ে যাঁরা ঘুমোন, তাঁদের অনিদ্রা, মাথাযন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি রক্তচাপেও হেরফের দেখা গিয়েছে।

বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকে দু’ধরনের বিকিরণ হয়। ‘আয়নাইজিং’ এবং ‘নন-আয়নাইজিং’। মাইক্রোঅয়েভের যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় প্রথমটি। আর ওয়াইফাই,, ব্লুটুথ যন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয়টি। যদিও দ্বিতীয়টির তেমন কোনও ভয়ানক ক্ষতির কথা সে ভাবে বলা হয়নি এত দিন, তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সাবধান করে জানাচ্ছেন যে, ওয়াইফাইয়ের তরঙ্গের মধ্যে নিরন্তর থাকলে মস্তিষ্কের কোষে তার প্রভাব পড়তে পারে।

২০১১ সালে এই নিয়ে একটি গবেষণাও হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়, ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক’ তরঙ্গের কারণে ‘স্লিপিং ডিজ়অর্ডার’ হতে পারে। রাতভর মোবাইলে চোখ রাখা, মাথার কাছে ফোন নিয়ে ঘুমোনোর কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দিয়েছে বহু মানুষের। এমনকি, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার শিকারও হয়েছেন অনেকে।

সতর্ক থাকতে কী করবেন?

১) ঘুমোনোর সময়ে ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করে দিন।

২) যখন ব্যবহার করছেন না, তখন ব্লুটুথ স্পিকার বা রাউটার বন্ধ রাখুন।

৩) ফোনটি মাথার কাছে নিয়ে শোবেন না। অনেকটা দূরে রেখে দিন। রাউটারও যেন মাথার কাছাকাছি না থাকে।

৪) রাতভর মোবাইলে চোখ রাখা বন্ধ করলে বিপদ অনেক কমবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here