গত কয়েক মাসে এমন ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। দিঘা, পুরী বা মন্দারমণিতে অনলাইন হোটেল বুক করতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন অনেকে। হোটেল বুক করে টাকাপয়সা দেওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে, আদৌ হোটেলটি কোনও অস্তিত্বই নেই। আবার এমনও হয়েছে যে, নামী হোটেলের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েও প্রতারণা করা হয়েছে। তাই হোটেল বুক করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
অনলাইনে হোটেল বুক করার আগে যা যা মাথায় রাখবেন?
১) সব সময়ে বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকেই হোটেল বুক করবেন। এখন অনেক রকম প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যেখান থেকে হোটেল বুক করা যায়। পরিচিত প্ল্যাটফর্ম থেকেই সে ক্ষেত্রে বুকিং সারুন।
২) আদৌ হোটেলটির অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা অনলাইনে বুকিংয়ের আগে যাচাই করে নিন। অগ্রিম বুকিংয়ের আগে হোটেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে কি না, তা জেনে নেওয়া জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র মারফত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করুন। যদি তেমন কোনও তথ্য না পান, তা হলে বুঝতে হবে, ওয়েবসাইটটি ভুয়ো।
৩) ইন্টারনেট খুঁজলে এখন অনেক নামী হোটেলেরই একাধিক ওয়েবসাইট পাবেন। কোনটি আসল আর কোনটি নকল, তা যাচাই করে নিতে হবে। ওয়েবসাইটটির ‘ইউআরএল’ ভাল করে দেখে নিন। সন্দেহজনক মনে হলে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে যাচাই করে নিন।
৪) হোটেলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বুকিং করুন। অনেক সময়ে ইন্টারনেটে একাধিক ভুয়ো নম্বর দেওয়া থাকে। সেগুলিতে ফোন করলে তারা ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বলে। সরাসরি ফোনেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর জিজ্ঞাসা করে। অথবা কিউআর কোড পাঠিয়ে স্ক্যান করে টাকা পাঠাতে বলে। এমন প্রস্তাব দিলে জানবেন, আপনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন।
৫) হোটেল বুক করার আগে তার ‘ক্যানসেলেশন পলিসি’ দেখে নিন। সব হোটেলেরই কিছু নিয়মনীতি রয়েছে, যেগুলি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত লেখা থাকে। কিন্তু, ভুয়ো ওয়েবসাইটে এগুলি লেখাই থাকবে না।
৬) যদি দেখেন, কোনও নামী হোটেলই বিপুল ছাড় দিচ্ছে অথবা সস্তায় ঘর বুক করার অফার দিচ্ছে, তা হলে যাচাই করে দেখে নিন সেটি ঠিক কি না।
৭) অনলাইনে বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হোটেল থেকে মেল পাঠানো হয় বা বৈধ কাগজপত্র স্ক্যান করে পাঠানো হয়। সেখানে বুকিং সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরে টাকাপয়সা দেওয়ার বিষয়টি আসে। তাই বুকিং করার সময়ে এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি দেখে নেবেন। প্রথমেই টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না।