ভেজা চুলের দৃশ্যে বহু নায়িকারাই ভক্তদের মনে ঝড় তুলেছে। জিনাত আমন থেকে দীপিকা-করিনা, জাহ্নবী কপূর, তাপসী পান্নু, নোরা ফতেহি-সহ একাধিক নায়িকাকে দেখা গিয়েছে ‘ওয়েট হেয়ার লুক’-এ।

এবার শুধু রূপালি পর্দায় নয়, আপনিও সামান্য প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহারে ভিজে চুলে হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, হেয়ার জেল অথবা স্প্রে দিয়েই ভিজে চুলেও বাজিমাত করা যায়। ক্যাজ়ুয়াল বা ফরমাল, যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই এই ধরনের কেশসজ্জা মানানসই হতে পারে।

অফিস যাওয়ার সময় চুল ভিজে থাকবে বলে, অনেকেই স্নানের সময় চুলে জল দেন না। অনেক সময় রুক্ষ চুল বাগেও আনা যায় না। এই ধরনের কেশসজ্জা, যে কোনও সময়েই কাজে আসতে পারে।

জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

১. স্নানের পর চুল তোয়ালে দিয়ে খুব ভাল করে মুছে নিতে হবে। যাতে চুল থেকে জল চুঁইয়ে না পড়ে। চুল যদি রুক্ষ বা শুষ্ক হয়, তা হলে ভিজে চুলে লাগিয়ে নিন সামান্য একটু তেল। তার পর অপেক্ষা করতে হবে, চুল যাতে আরও ভাল করে একটু শুকিয়ে যায়।

২. দ্বিতীয় ধাপে বেছে নিন চুলের উপযোগী কোনও জেল। জেলটি চিরুনিতে লাগিয়ে মাথার গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে আঁচড়ে নিন। এতে জেল চুলের প্রতিটি অংশে পৌঁছাবে।

৩. চাইলে চুলের ডগা পর্যন্ত জেল না লাগিয়ে মাথা থেকে মাঝের অংশ পর্যন্তও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে ভিজে ভাব থাকবে, চুল বশেও থাকবে। পুরো চুল ছেড়ে না রেখে উপরের অংশটি আলগা রেখে, নীচের দিকটি বিনুনি করে নিতে পারেন। আবার পনি টেলের কায়দায় চুল বেঁধেও নিতে পারেন। চাইলে চুল খুলেও রাখা যেতে পারে।

কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, জিন্‌স হোক বা ড্রেস, এই ধরনের চুলের সজ্জা সবেতেই মানাবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে, আলাদা করে চুল সোজা করা যন্ত্র বা স্ট্রেটনার ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। হালকা ভিজে ভাবের জন্য দেখতেও অন্য রকম লাগবে। তবে এর সঙ্গে ‘স্মোকি আই’ এবং গাঢ় বা উজ্জ্বল রঙের পোশাকের যুগলবন্দি ভাল লাগবে।

রুক্ষ চুলের সমস্যা থাকলে স্নানের সময় চুল নরম করার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here