শীতের মরশুমে শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই আদা খেয়ে থাকেন। আদা ছোট ছোট টুকরো করে চিবিয়ে খেতে পারেন। অনেকেই সরু সরু করে আদা কেটে সেটা রোদে শুকিয়ে নেন। তারপর বিটনুন দিয়ে ওই শুকনো আদা খেয়ে থাকেন ভারী খাবার খাওয়ার পর, মুখশুদ্ধি হিসেবে। শীতের দিনে বেশিরভাগ বাড়িতেই রয়েছে আদা চা খাওয়ার জল। সব মিলিয়ে শীতের মরশুমে ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ হিসেবে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা আরও অনেক ভাবেই আপনি খেতে পারেন।
স্যুপ- আদা এবং রসুন আর শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন স্যুপ। চাইলে এই স্যুপের মধ্যে দিতে পারেন আমিষও, মানে ডিম কিংবা মাংস। রসুন দেওয়ার ফলে একটা অন্যরকম স্বাদ এবং গন্ধ হবে এই স্যুপের মধ্যে। আর আদা দেওয়ার ফলে এই স্যুপ খেলে আপনার হজমশক্তি ভাল হবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে না। বদহজম হবে না। তাছাড়াও যদি গলা ব্যথা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রেও আরাম পাবেন আপনি।
স্টু- শীতকালে অনেক বাড়িতেই রুটি খাওয়ার চল বেড়ে যায়। রুটির সঙ্গে খেতে পারেন মাংসের ঝোল। কিংবা এমনি চিকেন স্টু বানিয়েও খেতে পারেন শীতের দিনে। মাংসের ঝোল কিংবা মাংসের স্টু- দুই রেসিপিতেই বেশি করে আদা ব্যবহার করুন। স্বাদ, গন্ধে যেমন আকর্ষণীয় হবে এই খাবার, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আদা দিলে রান্নার স্বাদে একটু ঝাল এবং ঝাঁঝ বাড়বে। তবে এই খাবার আপনার শরীর-স্বাস্থ্য শীতের দিনে ভাল রাখবে অতি অবশ্যই।
ডাল- শীতের দিনে অনেক বাড়িতে নানা রকমের সবজি দিয়ে ডাল রান্না করা হয়। এই ডালের মধ্যে আদা একটু বেশি পরিমাণে দিয়ে খেতে পারেন আপনি। তাহলে উপকার পাবেন। চট করে সর্দি-কাশি হবে না। খুশখুশে কাশি, গলা ব্যথার সমস্যাও দূর হবে। পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন আপনি। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তার ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাস- এইসব সমস্যাও দেখা যাবে না।