আমিষ-নিরামিষ সমস্ত রান্নাতেই দিতে হয় আদা। কিন্তু আদার ভূমিকা যে শুধু হেঁশেলের চৌকাঠের ও পারেই সীমাবদ্ধ, তা একেবারেই নয়। কাশি-গলাব্যথাতেও আদার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক টুকরো আদা যে গলা খুসখুসের সমস্যায় একমাত্র মহৌষধি হয়ে উঠতে পারে, এই কৃতিত্বের জন্য বাঙালির ঘরে ঘরে আদা আলাদা কদর পাওয়ার দাবিদার। আদার গুণাগুণ কি এখানেই শেষ? একেবারেই নয়। ছিপছিপে চেহারা পেতে চান? তা হলেও আপন করে নিন এই আনাজ। কী ভাবে খাবেন?

আদা চা

অফিস থেকে বেরিয়ে মাঝেমাঝে আদা চায়ে চুমুক দেন? তা হলে সে অভ্যাস বদলানোর দরকার নেই। তবে আদা চা খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। পাতলা করে আদা কেটে চায়ের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। আদার নির্যাস চায়ে মিশে এক অসামান্য স্বাদ হবে। সেই জমে থাকা মেদও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।

আদার জল

রোগা হওয়ার জন্য আদাজল খেয়ে লাগার আগে খালি পেটে আদার জল খাওয়া অভ্যাস করে দেখুন। কয়েক দিনেই মিলবে উপকার। প্রথম আদা ভাল করে ধুয়ে টুকরোগুলি গ্রেট করে নিন। এ বার মিহি করে গ্রেট করা আদা গরমজলে ভিজিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে জল ছেঁকে খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে চেহারায় পরিবর্তন আসবে।

আদার স্মুদি

বাহারি স্মুদির স্বাদ পাওয়া জিভ আদার এই পানীয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রতিবাদ জানাতে পারে। তবে সে প্রতিবাদ উপেক্ষা করে এক বার আদার স্মুদি ভালবেসে ফেলতে পারলে, রোগা হওয়া নিয়ে কোনও চিন্তা থাকবে না। শরীর থাকবে ঝরঝরে, পাখির পালকের মতো হালকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here