আমরা প্রত্যেকেই চেষ্টা করি ঠাকুরকে সর্বদা সর্বশ্রেষ্ঠ জিনিসটা ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে। তবে সামর্থ মত যে যেটুকুই তাঁকে অর্পণ করুক ভগবান তাতেই তুষ্ট। তবে ভোগ নিবেদন করার বিশেষ কিছু নিয়ম। এসব নিয়ম অবশ্যই মানতে হয়। নাহলে অসুন্তুষ্ট হন ঈশ্বর। দেখে নিন কোন কোন নিয়ম মানবেন-
ভোগে কোনও প্রকার তেল ব্যবহার করা যাবে না। ঈশ্বরের ভোগ সব সময়ে ঘি দিয়ে তৈরি করতে হবে।
ভোগের রান্নায় কখনও লঙ্কা ব্যবহার করতে নেই। ভোগের রান্না করতে হবে সব সময়ে ঝাল ছাড়া। ঝাল দেওয়া ভোগ ঈশ্বরের সামনে নিবেদন করা যাবে না।
ঠাকুরের ভোগের অংশ কখনও আগে সরিয়ে রাখতে নেই। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। ভোগ যতটা তৈরি করা হবে, সবটাই ঠাকুরের সামনে দিতে হবে। সেই বুঝে ভোগ তৈরি করতে হবে।
কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় এবং কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় না, ভাল করে জেনে তবেই ভোগ নিবেদন করুন।
ভোগ প্রসাদ হিসাবে কখনও নিজে প্রথমে গ্রহণ করবেন না। ভোগের প্রথম অংশ প্রথমে গরু বা কোনও পাখিকে খাওয়ান। তার পর নিজে গ্রহণ করুন।
ভোগ ঠাকুরের সামনে দেওয়ার পর কিছু ক্ষণ অবশ্যই ঘর একটু ফাঁকা করে দিয়ে, সকলে বাইরে চলে যেতে হয়। তার পর ভোগ প্রনাম করে ঠাকুরের সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হয়।