যে দু’কামরার ফ্ল্যাট তিনি কখনও ছাড়তে চাননি, মরন এসে তাই ছিনিয়ে নিল। এই ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে থাকা বই, বিছানা, গানের ক্যাসেটের মধ্যেই ছিল তাঁর যাপন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে শেষ বারের মতো বেরিয়ে গেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রক্তপতাকায় মুড়ে চললেন তিনি পিস ওয়ার্ল্ডের নেতৃত্বে। উপস্থিত জনতা খালি গলায় ধরলেন, ‘শেষ যুদ্ধ শুরু আজ কমরেড, এসো মোরা মিলি এক সাথ..!’’
শববাহী যানের পিছনে হাঁটতে দেখা গেল বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্যকে। আর কাঁচের গাড়ির মধ্যে সেই মোটা ফ্রেমের চশমা। থুতনিতে কিছু দিনের না কামানো দাড়ি। পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মরদেহের চক্ষু থেকে কর্নিয়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে পরিকল্পনা মতো।
বৃহস্পতিবার পিস ওয়ার্ল্ডেই রাখা থাকবে বুদ্ধদেবের নশ্বর দেহ। শুক্রবার সকাল ১১টায় সেখান থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য বিধানসভায়। বিধানসভায় মরদেহ থাকবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। সেখান থেকে বেলা ১২টা নাগাদ দেহ নিয়ে আসা হবে সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেখানেই মরদেহ শায়িত থাকবে বিকাল ৩টে পর্যন্ত। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। পৌনে ৪টে পর্যন্ত বুদ্ধদেবের দেহ শায়িত থাকবে সেখানে। সেখান থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরে মিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই বুদ্ধদেবের দেহ দান করা হবে।