নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র কটা দিন বাকি। নতুন আশা, সুযোগ, সম্ভবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিটি মানুষ পা দেবেন নয়া বছরে। তবে নতুন বছরে নিজের সমস্ত পরিকল্পনাকে সুসম্পন্ন করতে গেলে পরিশ্রমের পাশাপাশি চাই ভাগ্যের সহায়তা। জ্যোতিষমতে তার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। তা মেনে চললে ভাগ্যের সঙ্গ ভালই মেলে। সেক্ষেত্র নতুন বছরেই কিছু জিনিস বাড়িতে আনতে বলেছেন জ্যোতিষশাস্ত্রবিদরা। দেখে নিন কী কী আনবেন-

ধাতুর হাতি: বাড়িতে যেকোনও ধাতুর তৈরি হাতির মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে বাড়িতে যদি ধাতুর হাতি থাকে তবে নেতিবাচক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। বরং পরিবারে সঞ্চারিত হয় ইতিবাচক শক্তি।

ময়ূরপঙ্খ: কৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরপঙ্খ দেখে আমরা অভ্যস্ত। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে বাড়িতে এনে রাখুন ময়ূরপঙ্খ। তাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ মিলবে। এছাড়াও পরিবারে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে ময়ূরপঙ্খের গুণে। তবে একসাথে অনেক গুলি নয়, মাত্র এক থেকে তিনটি ময়ূরপঙ্খই বাড়িতে রাখবেন।

শুকনো নারকেল: কোন শুভ কাজ করার আগে নারকেল ফাটানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে হিন্দু ধর্মে। নববর্ষের আগেও যদি শুকনো নারকেল বাড়িতে এনে রাখেন তবে ধনসম্পত্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। আর্থিক সমস্যা থাকলে নতুন বছর আসার আগে এই নারকেল এনে রেখে দিন বাড়ির লকারে। সমস্যা কাটবে।

ধাতুর কচ্ছপ: ২০২৩ সাল আসার আগেই বাড়িতে নিয়ে আসুন একটি কচ্ছপ। পিতল, কাঁসা কিংবা রুপো দিয়ে তৈরি একটি ছোট কচ্ছপ এনে রাখুন বাড়িতে। বাস্তুশাস্ত্রে বলছে, বাড়িতে যদি ধাতুর কচ্ছপ থাকে তাহলে তা সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়।

মুক্তো শঙ্খ: মুক্তো শঙ্খের গুণে কখনও অর্থাভাব দেখা যায় না। তাই এই মুক্তো শঙ্খ বাড়িতে এনে রাখলে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে, এমনটাই বলছে শাস্ত্র । এই শঙ্খটি বাড়িতে এনে তাকে পুজো করার পর যেখানে টাকা রাখা হয় সেই লকারে রেখে দিন। এতে যেমন অর্থকষ্ট দেখা দেবে না তেমনি জীবনে উন্নতির পথ আরও প্রশস্ত হবে।

লাফিং বুদ্ধা: অনেকের বাড়িতেই লাফিং বুদ্ধা আনা হয়। তবে লাফিং বুদ্ধা বাড়ির সঠিক জায়গায় না রাখলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে । এই লাফিং বুদ্ধা সবথেকে ফলদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। কিন্তু তাকে রাখতে হবে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে। এতে আর্থিক সচ্ছলতা মেলে আশীর্বাদ স্বরূপ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here