মহারাষ্ট্রে সামনেই বিধানসভা ভোট।  বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে তার আগে শুরু হয়ে গিয়েছে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দানের লড়াই। আর এর মধ্যেই কীভাবে যেন এসে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ছায়া।

মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার কয়েক মাস আগে ‘লাডলি বহিন’ প্রকল্প চালু করেছিল। এটি ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই। লাডলি বহিন প্রকল্পের আওতাধীন মহিলারা মাসে দেড় হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। মঙ্গলবার কোলাপুরে বিজেপির জোটের সভায় শিন্ডে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে জিতলে ভাতার পরিমাণ ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হবে।

শিন্ডের প্রতিশ্রুতির পালটা হিসাবে বুধবার রাহুল গান্ধি, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে মুম্বইয়ে বিরোধীদের ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’র যৌথ প্রচারের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে ‘মহালক্ষ্মী যোজনা’ চালু হবে। তাতে মহিলারা মাসিক ভারা পাবেন ৩ হাজার টাকা করে।

 

একনাথ শিন্ডের এরকম প্রতিশ্রুতির সংখ্যা অবশ্য কম নয়। তিনি ২৫ হাজার মহিলাকে পুলিশবাহিনীতে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি সহ ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। কৃষকদের কৃষিঋণ মুকুবের পাশাপাশি বার্ষিক আর্থিক সহায়তা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের উপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রবীণদের মাসিক পেনশন দেড় হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১০০ করা এবং ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

আঘাড়ীরাও কিছু কম যান না। তারাও মহিলাদের ভাতাপ্রদান, বিনা পয়সায় রাজ্য সরকারি পরিবহণে যাতায়াত, ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মুকুব, বেকারদের ৪০০০ টাকা মাসিক অর্থসাহায্য, ২৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমা এবং জাতগণনা করে তার রিপোর্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here