সন্তান ভাল ও মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠার পিছনে পরিবারের সব থেকে বেশি ভূমিকা থাকে। শিশুদের বকাবকি বা খুব বেশি মারধর করলে তারা জেদি হয়ে ওঠে। এবং তাদের মধ্যে বেশ কিছু নেতিবাচকতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার সন্তান যদি নেতিবাচক উত্তর দেওয়া শুরু করে বা ভাল আচরণ না করে, তা হলে বুঝতে হবে, সে কোনও মানসিক টানাপড়েনে ভুগছে। এমন অবস্থায় অভিভাবকের আচরণে পরিবর্তন এনে সন্তানের আচরণেও বদল আনা সম্ভব।

ইউনিসেফের মতে, ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিদিন বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অবশ্যই ২০ মিনিট সময় বার করতে হবে। এটি বাড়ির যে কোনও কাজ করার সময়ই করা যেতে পারে। তাতে অভিভাবক এবং সন্তানের মধ্যে গভীর কথোপকথন হয়। সেই সময় ফোন, টিভি বন্ধ রাখা উচিৎ।

যে কোনও কথাই বাচ্চাদের রাগারাগি না করে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে বলুন। আবেগে ভেসে যাবেন না। বা এমন কোনও কথা বলবেন না, যা তারা বুঝতে পারে না।

সন্তানের ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করলে, তার উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাকে উপহারও দিতে পারেন। তারা বুঝতে পারে, অভিভাবকের কাছে তারা কতটা মূল্যবান। এতেই সে শান্ত এবং খুশি থাকতে শুরু করবে। খারাপ আচরণ করবে না।

শিশু যদি কোনও কিছু নিয়ে বিরক্ত ও রাগান্বিত হয়, তাকে তিরস্কার করবেন না। তাকে নিয়ে সৃজনশীল কোনও কাজ করুন। যেমন হাঁটতে বার হওয়া, সমস্যাটি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা।

আপনার সন্তান যদি কোনও ভুল করে, তা হলে শান্তভাবে তাকে থামান। এর পরেও যদি সে একই ভুল করে থাকে, তবে শান্ত থাকুন এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি সে সেই ভুল করা বন্ধ করে দেয়, তা হলে তাকে ভালবাসুন। এবং তাকে বলুন আপনি কতটা খুশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here