ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানের এক স্টেশনে। চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে লাশের পর লাশ। কোথাও পড়ে দেহাংশ। কারও হাত উড়ে গিয়েছে, তো কারও পা, কেউ আবার পুরোপুরি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে স্টেশন। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি চলছে। স্টেশনের ছাউনির বিশাল অংশ উড়ে গিয়ে আকাশ দেখা যাচ্ছে। শনিবার সকালে পাকিস্তানের কোয়েটা স্টেশনে বিস্ফোরণের পর এমনই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কোয়েটা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ওই প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। প্ল্যাটফর্মে তাই ভিড়ও ছিল যথেষ্ট। প্ল্যাটফর্মে ছিল সেনার একটি দল। ট্রেনে ওঠার জন্য যাত্রীরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই সময়েই জোরালো বিস্ফোরণ হয়। আর সেই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন সেনা-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

ডন নিউজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোয়েটার পুলিশ সুপার মহম্মদ বালোচ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় স্টেশনে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। যাত্রীদের ভিড়েই লুকিয়েছিল হামলাকারী। নিশানায় ছিল পাক সেনার দলটি। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার কয়েক হাত দূরেই নিজেদের ব্যাগপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল পাক সেনার ওই দল। তবে সেই দলে কত জন সেনা ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড মনে করছে, বিস্ফোরণের ঘটনাতে ৬-৮ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে আত্মঘাতী হামলার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।

শনিবার সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের কোয়েটা স্টেশন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, একটি ব্যাগে বিস্ফোরক নিয়ে স্টেশনে ঢুকেছিলেন হামলাকারী। কোয়েটার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনও ব্যাগে বিস্ফোরক ভরে প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, আত্মঘাতী হামলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here