শীত হোক বর্ষা। ঘুরতে যাওয়ার জন্যর আলাদা করে কী আবার কোনও ঋতুর দরকার পরে না কী। যখন মন চাইবে তখনই চলে যাওয়া যায়। তবে যাবেন কোথায় সেটা সবার প্রথমে ভাবা দরকার। কারণ ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবলেই তো আর হয়না। পকেটের দিকটাও মনে রাখতে হয়। বিশেষ করে আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, আর নীচে অসীম জলরাশি যদি দেখতে চান তাহলে ভ্রমণের তালিকায় রাখতে পারেন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম। এ নামের সঙ্গে অনেকেরই প্রথম পরিচয় হয় ভূগোল বা সাধারণ জ্ঞানের বইতে। বিমান আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের মাটি স্পর্শ করার খানিকটা আগে থেকেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে সাগরের অপূর্ব রূপ। ৮৩৬টি দ্বীপের সমাহারে তৈরি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দু’ভাগে বিভক্ত। উত্তরে আন্দামান ও দক্ষিণে নিকোবর। আন্দামানের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে।
পোর্ট ব্লেয়ার:
আন্দামান ভ্রমণের সূচনা করতে হয় পোর্ট ব্লেয়ার থেকেই। ছোট্ট একটি শহর। শহরকে ঘিরে রয়েছে একাধিক সমুদ্র সৈকত। পোর্ট ব্লেয়ার থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় সেলুলার জেল, রস ও নর্থ বে দ্বীপ, সংগ্রহশালা, মাড ভলক্যানো
সেলুলার জেল:
কারাগারের প্রতিটি কক্ষ এখনও সাক্ষী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের। সমুদ্রপারের কারাগারে ইংরেজদের নির্মমতা ও স্বাধীনতার সংগ্রামীদের স্বপ্ন আজও জীবন্ত হয়ে ওঠে প্রতি সন্ধ্যায় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’-এর মাধ্যমে।’ আর এখানেই ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
পোর্ট ব্লেয়ারে রয়েছে বেশ কয়েকটি সংগ্রহশালা। তার মধ্যে একটি নৃতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা। এখানকার নেভাল মেরিন মিউজ়িয়াম ‘সামুদ্রিক’-এ দেখতে পাবেন রকমারি প্রবাল, শঙ্খ, ঝিনুক। প্রবালগুলি কোনওটি আঙুলের মতো, কোনওটি আবার ঝাঁকড়া।
রস, ভাইপার ও নর্থ বে আইল্যান্ড:
রাজীব গান্ধী ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জেটি থেকে নৌকো ধরে চলে যাওয়া যায় রস ও ভাইপার দ্বীপে। এখানে বিভিন্ন জলক্রীড়ার সুযোগ রয়েছে।
চুনাপাথরের গুহা ও মাড ভলক্যানো:
আপনি আন্দামানের ট্রাঙ্ক রোডে ধরে যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন গভীর জঙ্গল। সেখানেই বাস আন্দামানের জনজাতি জারোয়াদের। তবে এখানকার সৌন্দর্য্য ক্যামেরাবন্দি করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এ পথে যেতে গেলে অনুমতি নিতে হয়।