বর্তমান যুগের অনিয়মিত জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাসের ফলে আকছারই বদহজম হয়ে থাকে। তাই বদহজম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অ্যান্টাসিড খেয়ে থাকেন। এই বদহজমের সমস্যা হতে থাকা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ এই বদহজম, গ্যাস-অম্বল, বুকে জ্বালা, পেটে ব্যথার লক্ষণগুলি পরবর্তী কালে আলসার, পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলি-   

সঠিক সময় অল্প পরিমাণে খাবার খান: একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেলে বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই সারাদিনে ৬-৭ বার অল্প পরিমাণে খাবার খান। এছাড়াও চেষ্টা করুন সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে নৈশভোজ সেরে ফেলার। রাতেরবেলা এমন খাবার এড়িয়ে চলুন যা হজম হতে বেশি সময় লাগে। ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, তাজা শাক-সবজি ও ফল বেশি করে রাখুন।

ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্ষতি করে না এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাচনতন্ত্রও। ধূমপানের কারণে অ্যাসিডের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ধূমপানের কারণে পেপটিক আলসার, প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মদ্যপান নিয়ন্ত্রন করুন: মদ্যপান করলে অ্যাসিড উৎপন্ন হত, যা পেটের আস্তরনের ক্ষতি করে। যার ফলে বমি, পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়ার মত লক্ষণ দেখা দেয়। নিয়মিত মদ্যপান করলে আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পানীয়: তেষ্টা মেটাতে বাজারচলতি পানীয় না খেয়ে ডাবের জল, ঘোল, লেবুর জল খান। এতে হজম শক্তি উন্নত হয়।

যোগাভ্যাস করুন: বদ হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যোগাভ্যাস ভীষণ উপকারী। বদহজমের সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকরী হল পবন্মুক্তাসন, বজ্রাসন, বলাসন।

প্রতিদিন ৮ঘন্টা ঘুমান: অনিদ্রা বদহজমের অন্যতম কারণ। রাতে ঘুম না হলে অথবা সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম উঠলে অনেকেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন। তাই দিনে৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here