মহাভারতের সময়  ব্যুষিতাশ্ব নামে এক শক্তিশালী রাজা ছিলেন।  বলা হয়, তাঁর কাছে অসীম ক্ষমতা ছিল। তিনি যখন মারা যান তখন তিনি নিঃসন্তান। মৃত রাজার সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন রানি, তারপর রাজারই ঔরসে জন্মেছিল সাত পুত্র।

মহাভারতে এই প্রভাবশালী রাজার কথা হস্তিনাপুরের বনবাসী রাজা পাণ্ডু তাঁর বড় রানি কুন্তীকে বলেছিলেন। পাণ্ডুকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল যে, তিনি যখনই স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হবে। এই অভিশাপ তিনি পেয়েছিলেন কারণ ভুলবশত সঙ্গমরত হরিণদ্বয়কে হত্যা করে। আসলে হরিণদ্বয় ছিলেন ছদ্মবেশে ঋষি কিন্দম ও ঋষিপত্নী।

এই অভিশাপের ফলে পাণ্ডুর পক্ষে পিতা হঅয়া সম্ভব ছিল না। তাই পাণ্ডু হস্তিনাপুরের সিংহাসন ছেড়ে দুই স্ত্রী কুন্তী এবং মাদ্রীকে নিয়ে বনে বাস করতে শুরু করেন। কিন্তু সন্তান না হওয়ার জন্যও অত্যন্ত মনোকষ্টে ভুগতেন পাণ্ডু। একদিন তিনি একান্তে কুন্তীকে বললেন, তুমি সন্তান পাওয়ার চেষ্টা কর। মহাভারতের যুগে নারীরা মহিলারা জরুরি অবস্থায় উচ্চবর্ণের পুরুষ, দেবর বা ভাসুরের থেকে নিয়োগ প্রথা মেনে সন্তান লাভ করতে পারতেন। পাণ্ডু নিজেও এইভাবে জন্মিয়েছিলেন।  সেই প্রসঙ্গেই পাণ্ডু কুন্তীকে ব্যুষিতাশ্বর কথা বলেছিলেন। রাজা ব্যুষিতাশ্বর রানি মৃত রাজার সঙ্গে মিলিত হয়ে সাত পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন।  এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের শুক্রাণু গর্ভধারণে ব্যবহার করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here