প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাগম মহাকুম্ভ মেলা। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির শুভদিনে প্রথম পুণ্য স্নান অনুষ্ঠিত হল। বলা হয়, এই পুণ্যস্নান ভক্তদের পাপ থেকে মুক্তি দেয়। ১৪৪ বছর পর গ্রহ-নক্ষত্রের এক বিরল অবস্থানের কারণে এবারের মহাকুম্ভ মেলা অন্যান্য বারের থেকে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এবারের কুম্ভমেলায় ১৩টি আখড়া, হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন সন্ন্যাসী সংগঠন, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছে।

মহাকুম্ভ, যাকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবতার সমাবেশ বলা হয়, প্রয়াগরাজে ৪০ কোটিরও বেশি জন সমাগম বলে আশা করা হচ্ছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। তবে মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে প্রয়াগরাজে স্নান করেছেন দেড় কোটি মানুষ। এই আধ্যাত্মিক মানবমেলা প্রায় ৪ হাজার হেক্টরে এলাকাজুড়ে হয়েছে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এআই ক্যামেরা এবং আন্ডারওয়াটার ড্রোন-সহ শহর জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মহাকুম্ভের প্রথম ‘অমৃত স্নান’ (পবিত্র স্নানে) শুধু ভারতীয় নয়, বেশ কিছু বিদেশি ভক্তরাও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা ভক্তিপূর্ণ পরিবেশে মিশে ভজন গাইতেও জড়ো হন। তারা ‘ওম জয় জগদীশ হরে’ এবং ‘মহিষাসুর মর্দিনী স্তোত্রম’ গেয়েছিলেন, সমাবেশের পবিত্র মন্ত্রে তাঁদের কণ্ঠ যুক্ত করে।

উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রে খবর, প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ এই মহাকুম্ভে যোগ দিতে পারেন। মেলা ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রির দিনে শেষ হবে। মেলাকে সবদিক থেকে সুরক্ষিত রাখতে বেশ কিছুদিন আগেই প্রস্তুতি শেষ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

কুম্ভে আসার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সাড়ে সাত হাজারের বেশি বেশি বাস তৈরি রেখেছে। পাশাপাশি ৫৫০ টি শাটল বাসের ব্যবস্থাও থাকছে। ভারতীয় রেলও এখানে আসার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। ১৩ হাজার স্পেশাল ট্রেন গোটা দেশজুড়ে চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here