গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি। এই বছর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই মহামেলা। ক্যালেন্ডার অনুসারে শেষ শাহি স্নান পালন করা হবে ৮ মার্চ। মহাকুম্ভে নাগাসাধুদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। সারাবছর ধরে নাগা সাধুদের চোখে দেখা যায় না। তবে নাগা সাধুদের শুধুমাত্র কুম্ভ মেলা, মাঘ মেলার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এবছর কুম্ভমেলা শুরু হবে আর কিছুদিন পর, তার আগে জেনে নিন নাগা সাধুদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য।
নাগা সন্ন্যাসীদের সম্পর্ক অজানা তথ্য
নাগা সন্ন্যাসী সহজে হওয়া যায় না। নাগা সাধু হতে গেলে ১২ বছরের কঠোর সাধনার প্রয়োজন। নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার সাধনার মধ্যে যখন তাঁরা থাকেন, সেই সময় শুধু কৌপিন ধারণ করে থাকেন। কুম্ভ মেলায় স্নান করে সেই কৌপিন বিসর্জন দিয়ে নাগা সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করার শপথ নেন এঁরা। অনেকের মতে নাগা সন্ন্যাসীদের যে কঠোর সাধনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা যে কোনও দেশের সেনাবাহিনীর অনুশীলনের থেকেও কঠিন।
নাগা সাধুরা শোওয়ার জন্য কখনও খাট, বিছানা ব্য়বহার করেন না। এঁরা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ১২ মাস খালি মাটিতে শুয়ে থাকেন। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার এঁরা খাবার খান। ভিক্ষে করেই নিজেদের খাদ্য সংগ্রহ করেন এঁরা। কিন্তু একদিনে মাত্র সাতটি বাড়িতে ভিক্ষের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন নাগা সাধুরা। এই সাত বাড়িতে কিছু না পেলে সেদিন অভুক্ত থাকতে হয় এঁদের।
আমাদের দেশে নানা সন্ন্যাসীদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। এমনকি মহেঞ্জোদারোর মুদ্রাতেও নাগা সন্ন্যাসীদের ছবি পাওয়া যায়। সেখানে পশুপতিনাথ-রূপী মহাদেবের উপাসনা করতে দেখা যায় তাঁদের। সম্রাট আলেকজান্দারও এ দেশ নাগা সন্ন্যাসীদের সাক্ষাত্ পেয়েছিলেন। এক সময় অনেক মন্দির ও মঠের ওপর হওয়া আক্রমণ প্রতিহত করতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা।