শীতকাল প্রায় ভাল মতোই পড়েছে। আর শীতের হিমেলে পরশ লাগতেও বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক লাগে মানুষের মধ্যে। কেউ ছুটে যান সমুদ্রের তীরে কেউ বা যান পাহাড়ের কোলে। তবে আপনি যদি পাহাড় বা সমুদ্র না যেতে চান, মানে যদি স্বাদ বদল করতে যান তবে যেতে পারেন লালমাটির দেশে। লাল মাটি, সবুজ টিলা মন ছুঁয়ে যাব আপনারও। নিরিবিলি পরিবেশে দু-এক দিনের জন্য বিরতি চাইলে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই এই জায়গাগুলিতে। দেখে নিন কোথায় কোথায় যাবেন-
বাঁকুড়া- কাছেপিঠে দু-একদিন ছূটি কাতানোর জন্য লালমাটির দেশে পা রাখা যেতেই পারে। এখানের গ্রাম্য শান্ত পরিবেশ মন ভাল করার জন্য যথেষ্ট। এখানের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হল- মুকুটমনিপুরের এশিয়ার বৃহত্তম মাটির বাঁধ, বিষ্ণুপুরের অজস্র টেরাকোটার মন্দির, জয়পুরের সবুজ বনানী, শুশুনিয়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কংসাবতীর সবুজদ্বীপ, ঝিলিমিলির ইকো ট্যুরিজম। এখানে থাকার জন্য রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হোটেল।
পুরুলিয়া- পশ্চিমবঙ্গে এমন সবুজ সুন্দর আর শান্ত পরিবেশ খুব কম পাবেন। এখানে কম খরচেই অফুরান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে পারবেন আপনি। এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে জজহাতু, পকরকচা, লাকরাকুন্দি জলাধার, সিন্ধিয়া, জারিয়া, কীর্তনীয়া। অযোধ্যা পাহাড় ঘেষা এই জায়গায় এখনও পর্যটকদের পা পড়েনি। ভাগ্যে থাকলে দেখতে পাবেন বুনো হাতিও।
বর্ধমান- দল বেঁধে বা পরিবারকে নিয়ে বর্ষশেষের মজা নিতে চলে যেতে পারেন বর্ধমানের আনাচেকানাচে। এখানে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে অন্যতম হল-বর্ধমান রাজবাড়ি, বর্ধমান বিজ্ঞান কেন্দ্র, বর্ধমান ডিয়ার পার্ক, ক্যাথলিক চার্চ, শের আফগানের সৌধ, দামোদর নদীর তীর, বীরহাটা কালীবাড়ি। দু-তিন দিনের জন্য ।
দূর্গাপুর ও আসানসোল- বর্ধমান ছাড়িয়ে গেলেই দূর্গাপুর ও আসানসোল শিল্পাঞ্চল। পিকনিক করতে বা পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন অত্যন্ত কম খরচেই। মাইথন, নেহেরু পার্ক, গুঞ্জন পার্ক, গড়দেউল, নাচন ড্যাম, রণডিহা, হুচুকডাঙ্গা, দিশেরগড়। কলকাতা থেকে ট্রেন, বাস পাবেন। জাতীয় সড়ক ধরে লং ড্রাইভেও চলে যেতে পারেন এখানে।