বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে কিন্তু উল্লেখযোগ্য একটি ব্রত হল ইতু পুজো। যা বিশেষত মহিলারাই করে থাকেন। কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে শুরু হয় এই ব্রত। যা অগ্রহায়ন মাসের সংক্রান্তিতে শেষ হয়।
তারপর পুরো অগ্রহায়ন মাস জুড়ে এই পুজোর উপোস করেন সকলে। অগ্রহায়ণের সংক্রান্তির দিন এই ব্রত শেষ হয়। আর এই দিন ইতু বিসর্জন দেওয়া হয়। কবে শেষ হচ্ছে এই পুজো, জানুন দিনক্ষণ।
কবে শেষ এই পুজো
কথিত রয়েছে, ইতু পুজার ব্রত যে নারীরা রাখেন তাদের জীবনে কখনও কষ্ট থাকে না। বিশ্বাস করা হয়, নারীরা সন্তানবতী হন। এই মাসের প্রতি রবিবার এই পুজো করলে সূর্যের পুজো করা হয় বলে মনে করা হয়। যা চলতি বছর শুরু হয়েছে ১৬ নভেম্বর শনিবার থেকে। শেষ হবে ২৪ অগ্রহায়ণ, রবিবার ১৫ ডিসেম্বর।
কী কী দিয়ে পুজো দেওয়া হয়
অনেকে কিন্তু পুজোর শেষ দিনটিকে আড়ম্বম্ভের সঙ্গে পালন করে থাকেন। চলতি বছর এই শেষ দিন পড়েছে ১৫ ডিসেম্বর। পুজোর সময়ে মাটির ঘট কেনা হয়। তারপর তাতে কচু, কলমি শাক, শুষনি শাক, ধান, পাঁচকলাই জল দিয়ে ফুল দিয়ে পুজো করা হয়।
অর্থের অভাব হয় না
ব্রতের পর এই পুজোর ঘট জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি নিষ্ঠা ভরে ইতু পুজো করেন, তার সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি বাড়তে থাকে। কোন দিন ফসল বা অর্থের অভাব হয় না।
নৈবেদ্যতে কী কী দিতে হয়
তাছাড়াও অনেকের বাড়িতে কিন্তু যে মহিলারা উপোস করেন, তাদের কিন্তু কলাপাতায় ১৩ খানা নৈবেদ্য সাজাতে হয় অর্থাৎ তাতে নতুন গুড়, মিষ্টি, চাল বাটা সব রকমের মরসুমের ফল নিবেদন করে সেটি খেতে হয়। এসময় কিন্তু কথা বলা যায় না।
কী কী খাবার খাবেন না
ঘটে জল ঢেলে চাল কলা নিবেদন করে সেটি খেতে হয়। এই বিশেষ দিনে এমন অনেক খাবার রয়েছে সেগুলি কিন্তু খাওয়া যায় না। জানুন কী কী খাবার খাবেন না। এই ইতু পুজোর দিন যদি আপনি ব্রত রাখেন, তাহলে আমিষ খাবার খাবেন না। নিরামিষ খাবার খান। সারাদিন হলুদ ছাড়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। শুকনো মুড়ি খাবেন। খারাপ কাজে লিপ্ত হবেন না। এতে ইতু দেবী রেগে যান।