মহাভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ খলনায়ক শকুনী। তিনি এবং তাঁর পাশা একটি গোটা বংশকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল। সোনা যায় যে তাঁর পাশা তাঁর কথা শুনত। আসলে বলা হয় যে, শকুনির ওই পাশা আসলে বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতারণার প্রতীক। জানা যায় যে, ওই পাশা তিনি তৈরি করেছিলেন হাড় দিয়ে। কিন্তু কার হাড় দিয়ে ওই পাশা তৈরি, সেটাও একটা বড় রহস্য!

কথিত আছে, নিজের পিতা সুবলার হাড় থেকে এই পাশাগুলি প্রস্তুত করেছিলেন। কুরু রাজবংশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই পাশাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। আসলে ধৃতরাষ্ট্র শকুনির পিতা ও পরিবারকে বন্দি করে অত্যাচার করেছিলেন। তাই নিজের পিতার হাড় থেকে পাশা তৈরি করার পর শকুনি সেটিকে তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করেন।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় পাণ্ডবের মধ্যে সহদেবই শকুনিকে হত্যা করেছিলেন। আসলে সহদেব ছিলেন জ্যোতিষশাস্ত্রের বড় পণ্ডিত। সহদেব বলেছিলেন যে, তিনি শকুনিকে হত্যা করবেন। অবশেষে গ্রহ-নক্ষত্র গণনা করে শকুনি কীভাবে শেষ হতে পারেন, সেটা দেখে নিয়ে তবেই তাঁকে হত্যা করেছিলেন সহদেব।

শকুনির মৃত্যুর পর তাঁর পাশাগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল অথবা হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সত্যিটা হল, এই পাশাগুলিকে নষ্ট করে তা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আবার এও শোনা যায়, প্রথমে পাশাগুলি ভেঙে তারপর শকুনির সঙ্গে সমাধিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here