সারা পৃথিবীতে অজস্র সাপ রয়েছে। অজস্র মানে অজস্রই, কিছু না হলেও কয়েক হাজার প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু সাপ সম্পর্কে মানুষ অনেক ভুল ধারণা পোষণ করে। মানুষের বিশ্বাস যে সাপ ফণা তুলতে পারে সেই সাপই বিষধর। তেমনটা কিন্তু নয়। ফণা তুললেই সেই সাপের বিষ থাকবে এমন কোনও কারণ নেই। আসলে মানুষ ভয় পায়। তাই সাপগুলিকে মেরে ফেলে। আজ এমন পাঁচটি সাপের বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
কালনাগিনী – বলা হয় লক্ষ্মীন্দরকে কামড়ানোর পর থেকেই কালনাগিনীর আর বিষ নেই। আসলে কালবনাগিনী বিষহীন সাপ। এদের দেহে যতটুকুনি বিষ আছে তাই নিয়ে এরা শিকার ধরে। কালনাগিনী লম্বাকৃতি, সরু চেহারা। এরা লম্বায় ২-৪ ফুট। খাদ্য হিসাবে এরাও টিকটিকি ,ব্যাঙ, ছোট পাখি শিকার করে।
লাউডগা সাপ– লাউডগা সাপের নাম সকলেই শুনেছেন। এই সাপের গায়ের রঙ সবুজ, একেবারে সরু হয় এই প্রজাতির সাপ। এরা খাদ্য হিসাবে টিকটিকি, ব্যাঙ, ইঁদুর শিকার করে। লাউডগা সাপের মাথা হয় ত্রিকোনাকৃতি।
বালি বোড়া সাপ – পৃথিবীতে আরও একটি বিষহীন সাপ রয়েছে, সেটি হল বালিবোড়া। এরা মোটা জাতীয় দেখতে হয়। বালিবোড়া বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। এদের লেজ আর মুখ একরকমের দেখতে, তাই বালিবোড়াকে দু’মুখো সাপ বলা হয়।
অজগর সাপ – অজগর বা পাইথনের বিষহীন সাপ। এই সাপ এদের ঘাড়ের তুলনায় মাথা বেশ চওড়া হয়। হলদে বা বাদামী বর্ণের ছোপ ছোপ গায়ের রঙ হয় এদের। তুলনামূলক ফাঁকা স্থানে অজগর দেখা যায়। এদের প্রধান খাদ্য হলো ইঁদুর, পাখি, শিয়াল ,হরিণ ইত্যাদি।
দাঁড়াশ সাপ– ভারতে সবচেয়ে বেশি দাঁড়াশ সাপ দেখা যায়। এরা লম্বায় ১২-১৪ ফুট হয়ে থাকে। এদের মূল খাদ্য হলো ইঁদুর। অনেকে মনে করেন যে দাঁড়াশের লেজে বিষ রয়েছে। এই ধারণা ঠিক নয়।