হিন্দুধর্মে অন্যান্য রীতিনীতির মধ্যে ধনতেরাসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ দিনে অনেকেই সোনা, রুপোর জিনিস কিনে থাকেন। এই দিন ধাতুর জিনিসের পাশাপাশি ঝাঁটা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ মা লক্ষ্মীর সঙ্গে ঝাঁটার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এদিন ঝাঁটা কিনলে মা লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ থাকে সেই ব্যক্তির উপর।
চলতি বছর ধনতেরাস পড়েছে ২৯ অক্টোবর। এই বিশেষ দিনে মা লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করা হয়। যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর পুজো হয়। সেই বাড়িতে দেবী সর্বদাই কৃপা থাকে। এমনকি আর্থিক দিকেও তাদের লাভ হয়।
কোনও কাজেই তাঁরা পিছিয়ে পড়েন না। যদি আপনি আর্থিক দিকে লাভ করতে চান তাহলে ধনতেরাসের ঝাড়ু কেনার পরও এই কাজগুলি করবেন। এতে মা লক্ষ্মী খুব খুশি হন। দেখুন কী কী-
মন্দিরে দান করুন
ধনতেরাসের দিন ঝাড়ু কেনার পর আপনি কোনও মন্দিরে দান করুন। এতে মা লক্ষ্মীর বিশেষ প্রভাব পড়বে আপনার উপর। এমন কি আপনার বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে, প্রবেশ করবে ইতিবাচক শক্তিও। এতে মা লক্ষ্মী খুশি হন। এতে আপনার ধন, সম্পত্তি বাড়তে থাকবে আপনার।
কখনওই কারওর কাছে ঋণী থাকবেন না। সেই সঙ্গে দারিদ্রতাও আপনার জীবন থেকে মুছে যাবে। পরিবারের সকলের সঙ্গে সকলের শুভ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
কোন সময়ে ঝাঁটা কিনবেন
যদি আপনি ধনতেরাসের দিন ঝাঁটা কেনেন, তাহলে দুপুরের পরে কিনবেন না এবং সূর্যাস্তের আগে কিনবেন। রাতে ঝাড়ু একদমই কিনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যায়। যখনই ঝাঁটা কেনেন দুটি একসঙ্গে কিনবেন। একটি কিনবেন না। একটি ঝাঁটা বাড়িতে রাখবেন। আর একটি ঝাঁটা মন্দিরে দান করবেন। তবেই কিন্তু মা লক্ষ্মী আপনার উপর খুশি হবেন। পাবেন সেই সঙ্গে বিষ্ণুর কৃপাও।
কেমন ঝাঁটা কিনবেন
ধনতেরাসের দিন ভুলেও প্লাস্টিকের ঝাঁটা কিনবেন না। বেতের ঝাঁটা কিনতে পারেন। আর বাড়িতে ঝাঁটা কিনে আনার পর কখনওই সেই ঝাঁটা দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। ঝাঁটা সবসময় আড়াআড়িভাবে শুইয়ে রাখবেন। নতুন ঝাঁটা কিনে আনার পর বাড়ি থেকে পুরনো ঝাঁটা ফেলবেন না। এটি খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যান। আর ঝাঁটা কখনওই নোংরা জায়গায় ফেলবেন না।