কৃষ্ণ ও সুদামার বন্ধুত্বের গল্প হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সুদামা কে ছিলেন একথা জিজ্ঞাসা করলেই আমরা তাঁদের বন্ধুত্বের কথাই বলি। এই সুদামা পূনর্জন্মে কে ছিলেন জানেন?

ভারতীয় পুরান অনুসারে ভগবান কৃষ্ণের শৈশবের বন্ধু ও ভক্ত সুদামা পূনর্জন্মে দানব শঙ্খচূড়রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

রাধার অভিশাপের কারণে সুদামা এবং বির্জাকে পৃথিবীতে জন্ম নিতে হয়েছিল। বির্জার জন্ম হয় তুলসীরূপে, যিনি শঙ্খচূড়ের স্ত্রী ছিলেন। শঙ্খচূড় দানব হ’লেও অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন এবং ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে অজেয় হওয়ার বর পেয়েছিলেন। তারপরই হয়ে উঠেছিলেন স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালের অধীশ্বর।

শঙ্খচূড়ের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে দেবতারা মহাদেবের শরণাপন্ন হন। কিন্তু শঙ্খচূড়ের কাছে শ্রীকৃষ্ণকবচ এবং তাঁর স্ত্রী তুলসীর অচল পতিব্রতা ধর্মের শক্তি ছিল, যার ফলে দানবকে কোনও দেবতাই পরাজিত করতে পারছিলেন না। এরপর ভগবান বিষ্ণু ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে শঙ্খচূড়ের শ্রীকৃষ্ণকবচ নিয়ে নেন। শুধু তাই নয়, তুলসীর সঙ্গে প্রতারণা করে তাঁর পতিব্রতা ধর্মকে কলুষিত করেন। এরপর শিবশঙ্কর শঙ্খচূড়ের বধ করেন এবং এইভাবে সুদামার পুনর্জন্ম শেষ হয়।

এই কাহিনী থেকে এটি শিখতে পারা যায় যে হিন্দু পুরাণে অভিশাপ, তপস্যা এবং সতীত্বের গভীর গুরুত্ব রয়েছে। এই ঘটনার কারণে তুলসীকে দেবীর নামেও পরিচিত করা হয় এবং তাঁর পূজা হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা ও ভক্তির প্রতীক হিসেবে গন্য হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here