‘সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন’ – এই টিউনটা শুনলেই যেন মনটা কেমন করে ওঠে। প্রতিটি বাঙালি পরিবারের বোরোলিন সারা বছরের সদস্য। শুষ্ক ত্বক, ফাটা ঠোঁট, রোদে পোড়া গাল বা কাটা, ত্বকের সমস্যা যাই হোক না কেন, এই ঘন ময়েশ্চারাইজারটির মিষ্টি গন্ধ সবসময় ভরসা যোগাবে। ছোট্ট সবুজ কৌটোটা কিন্তু একেবারে ধন্বন্তরী।

বোরোলিনে থাকে বোরিক পাউডার, জিঙ্ক অক্সাইড, এসেনসিয়াল অয়েল এবং প্যারাফিন।  এই মাল্টিপারপাস ক্রিমটি শুধুমাত্র ত্বকের জন্যই নয়, রুক্ষ ও শক্ত কিউটিকলের জন্যও উপকারী। কিউটিকলের উপর পুরু করে বোরোলিন লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। ক্রিমে থাকা চর্বি এবং ইমালসিফায়ারগুলি শক্ত ত্বককে ভেঙ্গে ফেলে এবং গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে নখ নরম ও চকচকে হবে।

অ্যান্টিসেপটিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, জিঙ্ক অক্সাইড এবং ইমোলিয়েন্ট ল্যানোলিনের সংমিশ্রণ রোদে পোড়া, রেজার কাটা, ফাটা ঠোঁট, রুক্ষ ত্বক এবং সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিকার হিসাবে কাজ করে। অল্প বোরোলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইল এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে সেটা রোদে পোড়া বা কাটা জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়। দংশন জনিত যন্ত্রণা এবং ব্যথা উপশমেও সহায়তা করে।

তরল ম্যাট লিপস্টিক বা ওয়াটারপ্রুফ মাস্কারা বা অন্য মেকআপ তুলতে বোরোলিনের জুড়ি নেই। অনেকটা বোরোলিন নিয়ে মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যাতে মুখে ভালোভাবে বসতে পারে। তারপর ভেজা তুলো বা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষলেই কেল্লা ফতে।

এক টেবিল চামচ বোরোলিন নিয়ে সেটাকে গলিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা করতে হবে ঘরের তাপমাত্রায়। এবার সেটা ব্রন বা পিম্পলে লাগাতে হবে। স্পট ট্রিটমেন্ট হিসেবে পরপর ৩ দিন এটা ব্যবহার করলেই ব্রন থেকে মুক্তি মিলবে।

বোরোলিনকে প্রয়োজনে শেভিং ক্রিম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। এক ভাগ বোরোলিন এবং তিন ভাগ নারকেল তেল মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় ঘরোয়া শেভিং ক্রিম। এটি কেবল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে না, ত্বক রেশমের মতো মসৃণ করে তোলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here