বাংলাকে অবশেষে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এ ব্যাপারে রাজ্যের দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।

টুইটে এ খবর জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে বাংলা ভাষাকে অবশেষে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে।’

এর আগে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, ওড়িয়া— এই ভাষাগুলিকে কেন্দ্র সরকার ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দী থেকে চলে আসা বাংলাভাষাকে এতদিন দেশের ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র। কেন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ, তার সপক্ষে সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে তিনটি খণ্ডে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছিল রাজ্য।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বাংলার প্রাচীন ভাষা। আমাদের কাছে নথিও রয়েছে। তাই তথ্য দিয়েই আমরা আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। নিজের দাবির সপক্ষে নথিও জমা দিয়েছিলাম। অবশেষে কেন্দ্র দাবি মানতে বাধ্য হল।”

প্রসঙ্গত, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলা ভাষা সুপ্রাচীণ। গত আড়াই হাজার বছর ধরে এই ভাষার বিবর্তন হয়েছে। তাই বাংলাকে এবার ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

এমনকী বাংলা ভাষার বিবর্তন ও ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য সরকার একটি কমিটি তৈরি করেছিল। ভাষাবিদ, পণ্ডিত এবং আমলাদের নিয়ে গঠিত কমিটি একটা চার খণ্ডের গবেষণাপত্র তৈরি করে। সেই গবেষণা লব্ধ রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে এবার বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here