তুলসী গাছের স্বাস্থ্যের উপরে সংসারের সুখ-সমৃদ্ধিও অনেকাংশেই নির্ভর করে বলে জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে, সেই বাড়িতে কখনও নেতিবাচক শক্তি ছড়ায় না এবং সবসময় শান্তি বজায় থাকে।
দেওঘরের জ্যোতিষী জানাচ্ছেন, এই ভাদ্র মাসে জলের পাশাপাশি তুলসী গাছের গোড়ায় বিশেষ কিছু জিনিস দিলে সংসারের বিশেষ কল্যাণ হয়।
দেওঘরের পাগল বাবার আশ্রমে অবস্থিত মুদ্গল জ্যোতিষ কেন্দ্রের খ্যাতনামা জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল জানান, প্রতি মাসে তুলসী পূজার নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। প্রতিটি পূজার উপকারিতাও আলাদা। ভাদ্র মাসে প্রতিদিন তুলসী গাছের গোড়ায় জল ছাড়াও আরও অনেক কিছু নিবেদন করা উচিত বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের বিশ্বাস, এতে সংসারে কোনও দারিদ্র্য থাকে না এবং সবসময় ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে।
ভাদ্রমাসে প্রতিদিনই তুলসী গাছের গোড়ায় গঙ্গাজল নিবেদন করা উচিত। জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর জানাচ্ছেন, এই মাসে তুলসী গাছের গোড়ায় দুধ নিবেদন করলে সংসারে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
স্নানের পরে ভাদ্র মাসে প্রতিদিন তুলসী গাছে চন্দন ছিটিয়ে দিন, এটি নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং সংসারে ইতিবাচক শক্তি ছড়ায়।
ভাদ্র মাসে প্রতিদিন তুলসী গাছে জাফরান অর্পণ করলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন বলে মনে করা হয়।
ভাদ্রপদ মাসে প্রতি সন্ধ্যায় তুলসী গাছের কাছে একটি কর্পূর প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এতে ঘরের যাবতীয় ত্রুটি দূর হয়।
গাছ থেকে যেমন বেলপত্র ছেঁড়া উচিত নয়, তেমনই একাদশী বা রবিবারে তুলসী পাতা ছেড়াও উচিত নয়। এতে মা লক্ষ্মী রাগ করতে পারেন। আপনার বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি বাড়তে পারে।