জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। আবহাওয়া দফতর বলছে ৯ পর্যন্ত নামতে পারে শীতবুড়ির পারদ। তবে ঠান্ডা তো নেহাতই দু’দিনের অতিথিমাত্র। গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারতে গরমই বেশি। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহে ঠান্ডা পানীয়র মধ্যে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার। আখের রস খাননি এমন মানুষ তো আতসকাঁচেও মিলবে না। শুধুপাত্র পিপাসা মিটিয়ে শরীর ঠান্ডা করেই আখ সন্তুষ্ট নয়, মানব শরীরে এই ফলটির গুনাগুন জানলে অবাক হবেন। পুরুষদের শরীরে আখ ভীষণ ভাল কাজ করে। তাঁদের শুক্রানু সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় নিমেষেই। কিডনি ভাল রাখতে এই ফলেই বাজিমাত করুন। তবে চেষ্টা করুন সকাল বা দুপুরের দিকে আখের রস খেতে। বিকেলের দিকে আখের রস খাবেন না। পাশাপাশি টাটকা আখের রস খান।

ত্বক এবং চুল ভাল থাকুক এ কে না চায়। সেক্ষেত্রে আখ হতে পারে অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু। আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বক ভাল রেখে ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। অনেকাংশে কমায় ব্রণর সমস্যা। যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত আখ খান, ফল পাবেন হাতেনাতে।

সন্তান ধারণের জন্য ডিম্বানু-শুক্রানুর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রজননগত সমস্যার সমাধান নিমেষে করে ফেলে আখ। পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে আখ অত্যন্ত সহায়ক। পাশাপাশি মহিলাদের ডিম্বানু বাড়িয়ে দেওয়া, স্তন দুগ্ধ বৃদ্ধি করা এসবই আখের কামাল।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভোগেন তাঁদের জন্য আখ অত্যন্ত উপকারী। আখে থাকা ফাইবার কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

জন্ডিস হলে আখ খাওয়া ভাল। এতে যকৃৎ অর্থাৎ লিভার ভাল থাকে। প্রাচীনকালে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা রোগীকে আখের রস খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here