বর্তমানে ভারতীয় রেলে পরিষেবায় বহু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই রেল পরিষেবা উন্নতিকরনের কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল।
অনেকেই রয়েছেন যারা নিয়মিত এই ভারতীয় রেলের পরিষেবা নিয়ে থাকেন। করোনা মহামারীর আগে পর্যন্ত সিনিয়র সিটিজেনরা ট্রেনে ভাড়ার ওপর ডিসকাউন্ট পেতেন। কিন্তু এখন এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং রেল এই সুবিধা ফিরিয়ে আনার কোনও উল্লেখও করছে না। তবে ভাড়ার ডিসকাউন্ট না দিলেও সিনিয়র সিটিজেনদের এখনও অনেক সুবিধা দেয় ভারতীয় রেল। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে সকলেই চান তাঁরা যাতে ট্রেনের লোয়ার বার্থে সিট পান। এই কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল ৬০ বছরের অধিক বয়সে পুরুষ এবং ৪৫ বছরের অধিক বয়সের মহিলাদের জন্য স্লিপার ট্রেনে লোয়ার বার্থ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই সুবিধা শুধুমাত্র তখনই পাওয়া যায় যখন প্রবীণ নাগরিক একা ট্রেনে ভ্রমণ করছেন, কিংবা সর্বোচ্চ দু’জন ব্যক্তি আছে। দুজনের বেশি যখন একসঙ্গে যাত্রা করবেন তখন এই সুবিধা মিলবে না। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ট্রেনে টিকিট কাটার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে যাত্রীর সঠিক বয়সের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। টিকিট কাটার সময় প্রবীণ নাগরিকদের কোটায় টিকিট কাটতে হবে।
তবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য মিডল বা আপার বার্থে সিট থাকে, তাহলে সে ট্রেনের টিটির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। লোয়ার বার্থে সিট ফাঁকা থাকলে প্রবীণ নাগরিকদের সেই সিট দিয়ে দেওয়া হবে। উৎসবের সময় প্রবীণ নাগরিকরা স্লিপার ক্লাসে টিকিট কাটলে লোয়ার বার্থ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ একটি ট্রেনে সাধারণত এসি ক্লাসের চেয়ে স্লিপার ক্লাসের কামরা বেশি থাকে। তাই এবার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন।