বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ভাড়া, সংসার খরচ, সন্তানের পড়াশোনা – খরচের যেন শেষ নেই। তখন আবার অন্যের কাছে হাত পাতা ছাড়া আর উপায় থাকে না। সঞ্চয় দূর অস্ত।
কেন এমন হয়? আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মানি ম্যানেজ’ করতে না পারাই এর প্রধান কারণ।
টাকা সামলাতে জানতে হয়। তবেই সঞ্চয় করা সম্ভব। স্যালারি থেকে প্রতি মাসে কীভাবে সঞ্চয় করতে হয়, তারই সুলুক সন্ধান দেওয়া হল এখানে।
বাজেট: একটা সময় প্রায় সব সংসারেই খেরোর খাতা থাকত। তাতে হিসেব নিকেশ করতেন বাড়ির কর্তা। কত আয় হয়েছে আর কোথায় কত টাকা খরচ হল, সব কিছু। এখন আর সেই চল নেই। কিন্তু বাজেট করাটা জরুরি। কোথায় কতটুকু খরচ করব, তার হিসেব আগাম ছকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তার বেশি ব্যয় যেন না হয়।
টাকা সরিয়ে রাখা: সংসার খরচের পর যেটা পড়ে থাকবে সেটা সঞ্চয় নয়। সবার আগে সঞ্চয়। স্যালারি ঢুকলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরিয়ে রাখতে হবে। বাকি যা পড়ে থাকবে, তাই দিয়ে সারতে হবে সংসার খরচ। এভাবে প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হবে হয়ত। কিন্তু পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
অটোমেটিক সেভিংস: অনেক স্কিম রয়েছে যাতে আলাদা করে বিনিয়োগ করতে হয় না। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে অটোমেটিক কেটে নেওয়া হয়। এমন স্কিমে বিনিয়োগ করা উচিৎ। ফলে আলাদা করে আর বিনিয়োগ করতে হবে না। ভবিষ্যতের সঞ্চয় হতে থাকবে।
অপ্রয়োজনীয় খরচ: অযথা খরচে রাশ টানা জরুরি। এটা নিজেকে বুঝতে হবে। মন চাইলেই শপিং, সিনেমা কিংবা প্রত্যেক উইক এন্ডে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া হয়ত অপ্রয়োজনীয় খরচ নয়, কিন্তু এগুলো দরকারিও নয়। মাসে একবার কি দু’বার সপরিবারে রেস্তোরাঁয় যান। মন চাইলে কোনও ভাল পদ বাড়িতেই বানিয়ে নিন। এতে অনেক টাকা বেঁচে যাবে।
কোথায় কত খরচ: কোথায় কত খরচ হচ্ছে, এটা জানা খুব প্রয়োজন। তবেই বাজে খরচে লাগাম টানা যাবে। এই জন্যই বাজেট করা দরকার। হিসেব রাখতে হবে। কোথায় খরচ কমানো যায়, খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেও কিছু টাকা সঞ্চয় হবে। এই টাকা জরুরি প্রয়োজনের জন্য তুলে রাখা যায়। আখেরে লাভই মিলবে।