ত্বকে বয়সের ছাপ থাকেই। তবে তাকে নিয়ন্ত্রণও করা যায় কিছু পদ্ধতি অবলম্বন ও সঠিক ডায়েট করলে। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন নামে একপ্রকার প্রোটিন। দেহজ প্রোটিনের ৩০ শতাংশই হল কোলাজেন। ত্বক টানটান করা, মৃত কোষ প্রতিস্থাপন, নতুন কোষ গঠনে কোলাজেনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। বয়স হলে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ত্বকও শিথিল হয়ে পড়ে, দেখা দেয় বলিরেখা।

দৈনন্দিন নানা রকম খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করে। যার অন্যতম উৎস নিঃসন্দেহে মাছ, মাংস। তবে যদি কেউ মাছ, মাংস, ডিম না খান, তাঁর শরীর কোলাজেনের ঘাটতি মিটবে কীভাবে? এ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ‘কোলাজেন পাউডার’। বিভিন্ন পানীয় বা স্যুপে দু’চামচ মিশিয়ে নিলেই বয়স হলেও ত্বক থাকবে টানটান।

কীভাবে তৈরি করবেন কোলাজেন পাউডার?

উপকরণ

আগার-আগার পাউডার: উদ্ভিদ থেকে তৈরি জিলাটিন।

স্পিরুলিনা: (এক ধরনের শৈবাল): প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পূর্ণ। অনলাইনে এই ধরনের উপকরণ সহজেই মেলে।

সাইট্রাস জ়েস্ট: পাতিলেবু, কমলালেবুর খোসা। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।

বীজ: চিয়া, তিসির বীজ। আখরোট। এই ধরনের বীজ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ থাকে।

হেম্প পাউডার: প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মেলে এতে।

হলুদ: এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। হলুদে থাকা কারকাউমিন শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক হলুদ।

পদ্ধতি

১. প্রথমেই পাতিলেবু বা কমলালেবুর খোসা পিলারের সাহায্যে হালকা ঘষে নিন। বেশি ঘষলে খোসা খাওয়া যাবে না, তেতো লাগবে।

২. তিসি অথবা চিয়া বীজ গুঁড়িয়ে নিন। গুঁড়ো করে নিন আখরোট।

৩. মিক্সারে এক কাপ আগার-আগার পাউডার, ২ টেবিল চামচ স্পিরুলিনা পাউডার, কিছুটা পাতিলেবু বা কমলালেবুর খোসার উপরিভাগ যোগ করুন। যোগ করুন এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ আখরোট গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ তিসি বা চিয়া বীজের গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ হেম্প পাউডার, ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন।

কোলাজেন পাউডার কাচের শিশিতে বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। ভেষজ চা, দুধ, স্মুদি, স্যুপে মিশিয়ে নিয়মিত ১ থেকে ২ টেবিল চামচ কোলাজেন পাউডার খেলে ত্বক হবে লাবণ্যে পূর্ণ, দীপ্তিতে ভরপুর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here