মাত্র ৩৯ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে মানুষ বেঁচে থাকেন তাঁর চিন্তার মাধ্যমে, বাণীর মাধ্যমে। ঠিক এই ভাবেই আমাদের মধ্যে আজও বেঁচে রয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর প্রতিটি বাণীই জীবনে চলার পথে পাথেয়। আর জেনে নিই তেমনই ১০টি বাণী।
১. জীবনে তিনটি আদর্শ চোখ বন্ধ করে মেনে চলার কথা বলেছেন স্বামীজী। তিনি বলেছেন, ‘যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।’
২. ‘যে কোনও একটা ভাবনা মাথায় আনো। সেই একটা ভাবনাকেই তোমার জীবন করে ফেলো – সেটা নিয়েই ভাবো, সেটা নিয়েই স্বপ্ন দেখো, সেটা নিয়েই বাঁচো। সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে তোমার মস্তিষ্ক, তোমার পেশি, তোমার শরীরের প্রত্যেকটি অংগকে কাজে লাগাও। প্রত্যেকটা ভাবনাকে অন্য ভাবনার থেকে আলাদা করে রাখো। এই পথেই সাফল্য আসবে।’
৩. ‘উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও। যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও। আর এটা সব সময় মাথায় রেখো, তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা। তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।’
৪. ‘তুমি গীতা পড়ার থেকে ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের অনেক বেশি কাছাকাছি যেতে পারবে।’
৫. ‘ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।’
৬. ‘তুমি খ্রিষ্টের মতো ভাবলে তুমি একজন খ্রিষ্টান, তুমি বুদ্ধের মতো ভাবলে তুমি একজন বৌদ্ধ। তোমার ভাবনা, অনুভূতিই তোমার জীবন, শক্তি, জীবনীশক্তি। যতই বুদ্ধি দিয়ে কাজ করো, এগুলি ছাড়া ভগবানের কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়।’
৭. ‘মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনও কাজই ছোট নয়।’
৮. ‘কোনও বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।’
৯. ‘সারাদিন চলার পথে যদি কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।’
১০. ‘আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনও শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।’